বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই এই সপ্তাহে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:৫৭
বর্ষার টানা বর্ষণ চলছে দেশ জুড়ে। বেশ কিছু এলাকায় হচ্ছে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ। কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে সোমবার পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
গত কয়েকদিন শুধু চট্টগ্রাম ও বরিশালে ভারী বর্ষণ হলেও নতুন করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান বৃষ্টি পরিস্থিতি শিগগির পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আগামী সপ্তাহে কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মাত্রা অনেকটা কমলেও বর্ষার কমবেশি বর্ষণ তখনও অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় ভারী বর্ষণ আজও অব্যাহত থাকবে তবে মাত্রা কিছুটা কমবে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আগামী ১১-১২ তারিখের আগে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা কম। ওই সময় কিছুটা কমলেও বর্ষার কারণে বিক্ষিপ্তভাবে সারাদেশেই বৃষ্টি হবে। এছাড়া মঙ্গলবার (আজ) চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের মাত্রা কিছুটা কমতে পারে এবং সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে মাত্রা বাড়বে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। ঢাকাতে বৃষ্টি অপরিবর্তীত থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাপমাত্রারও বড় পরিবর্তন নেই। এলাকাভেদে বৃষ্টির মাত্রা কমবেশির উপর নির্ভর করে তাপমাত্রাও কমবেশি হবে।
সোমবার সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছছে সীতাকুন্ডে ২৩১ মিলিমিটার। রাঙ্গামাটিতে হয়েছে ২০৭ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রাম সদর ও সন্দ্বীপে হয়েছে যথাক্রমে ১৮৯ ও ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি।
ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রংপুরেও। বিভাগের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে দিনাজপুরে ১২৭ মিলিমিটার। এছাড়া সৈয়দপুরে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে রাজধানীতে হয়েছে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি। সারাদেশেই বৃষ্টি বাড়লেও এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আগেরদিনের চেয়ে আড়াই ডিগ্রি বেড়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় জানানো হয়, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। এই সতর্কবার্তা আজও অব্যাহত থাকতে পারে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:৫৭

বর্ষার টানা বর্ষণ চলছে দেশ জুড়ে। বেশ কিছু এলাকায় হচ্ছে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ। কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে সোমবার পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
গত কয়েকদিন শুধু চট্টগ্রাম ও বরিশালে ভারী বর্ষণ হলেও নতুন করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান বৃষ্টি পরিস্থিতি শিগগির পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আগামী সপ্তাহে কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মাত্রা অনেকটা কমলেও বর্ষার কমবেশি বর্ষণ তখনও অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় ভারী বর্ষণ আজও অব্যাহত থাকবে তবে মাত্রা কিছুটা কমবে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আগামী ১১-১২ তারিখের আগে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা কম। ওই সময় কিছুটা কমলেও বর্ষার কারণে বিক্ষিপ্তভাবে সারাদেশেই বৃষ্টি হবে। এছাড়া মঙ্গলবার (আজ) চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের মাত্রা কিছুটা কমতে পারে এবং সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে মাত্রা বাড়বে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। ঢাকাতে বৃষ্টি অপরিবর্তীত থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাপমাত্রারও বড় পরিবর্তন নেই। এলাকাভেদে বৃষ্টির মাত্রা কমবেশির উপর নির্ভর করে তাপমাত্রাও কমবেশি হবে।
সোমবার সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছছে সীতাকুন্ডে ২৩১ মিলিমিটার। রাঙ্গামাটিতে হয়েছে ২০৭ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রাম সদর ও সন্দ্বীপে হয়েছে যথাক্রমে ১৮৯ ও ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি।
ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রংপুরেও। বিভাগের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে দিনাজপুরে ১২৭ মিলিমিটার। এছাড়া সৈয়দপুরে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে রাজধানীতে হয়েছে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি। সারাদেশেই বৃষ্টি বাড়লেও এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আগেরদিনের চেয়ে আড়াই ডিগ্রি বেড়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় জানানো হয়, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। এই সতর্কবার্তা আজও অব্যাহত থাকতে পারে।