জনগণের কথা ভেবে গ্যাসের দাম ৭৫ শতাংশ বাড়ানো হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ জুলাই, ২০১৯ ২২:৫৫
গ্যাসের দাম ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কথা চিন্তা করে তা করা হয়নি। ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের (বাজেট অধিবেশন) সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গ্যাসের দাম নিয়ে আন্দোলন করছেন, তারা প্রকৃত অবস্থা চিন্তা করছেন না। অথবা উন্নয়নটা দেখতে পাচ্ছেন না। এটা দুঃখজনক।
এর আগে বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন চাই, কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়াতে চাই না।’
গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। চাহিদা ছিল ৩৭০০ এমএমসিএফটি কিন্তু সরবরাহ করা যাচ্ছিল মাত্রা ২৬০০ এমএমসিএফটি। এই ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। এর অংশ হিসেবে এক হাজার এমএমসিএফটি এলএনজি গ্যাস আমদানি শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতি ঘন মিটারে উৎপাদন খরচ হয় ৭ দশমিক ৫০ টাকা। এলএনজির খরচ পড়ে ৩৩ দশমিক ৭৫ টাকা। এ জন্য প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৭৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমাদের প্রতি ঘনমিটারের এলএনজি আমদানির মূল্য পড়ছে ৬১ দশমিক ১২ টাকা। কিন্তু সেখানে আমরা নিচ্ছি ৯ দশমিক ৮০ টাকা। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ৩২ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। ফলে এর জন্য ১৯ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এটাও আবার সব ধরনের ট্যাক্স আর শুল্ক বাদ দিয়ে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ জুলাই, ২০১৯ ২২:৫৫

গ্যাসের দাম ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কথা চিন্তা করে তা করা হয়নি। ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের (বাজেট অধিবেশন) সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গ্যাসের দাম নিয়ে আন্দোলন করছেন, তারা প্রকৃত অবস্থা চিন্তা করছেন না। অথবা উন্নয়নটা দেখতে পাচ্ছেন না। এটা দুঃখজনক।
এর আগে বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন চাই, কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়াতে চাই না।’
গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। চাহিদা ছিল ৩৭০০ এমএমসিএফটি কিন্তু সরবরাহ করা যাচ্ছিল মাত্রা ২৬০০ এমএমসিএফটি। এই ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। এর অংশ হিসেবে এক হাজার এমএমসিএফটি এলএনজি গ্যাস আমদানি শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতি ঘন মিটারে উৎপাদন খরচ হয় ৭ দশমিক ৫০ টাকা। এলএনজির খরচ পড়ে ৩৩ দশমিক ৭৫ টাকা। এ জন্য প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৭৫ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমাদের প্রতি ঘনমিটারের এলএনজি আমদানির মূল্য পড়ছে ৬১ দশমিক ১২ টাকা। কিন্তু সেখানে আমরা নিচ্ছি ৯ দশমিক ৮০ টাকা। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ৩২ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। ফলে এর জন্য ১৯ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এটাও আবার সব ধরনের ট্যাক্স আর শুল্ক বাদ দিয়ে।’