চলতি বছরেই রেলে যুক্ত হবে ২২০টি অত্যাধুনিক কোচ: রেলমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২৫ জুলাই, ২০১৯ ০১:১৫
চলতি বছরেই রেলে ২২০টি অত্যাধুনিক কোচ যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
বুধবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলি কারখানায় পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রেলমন্ত্রী প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম নগরে এসে হালিশহরের রেলওয়ের ট্রেনিং একাডেমি, রেলওয়ে বিভিন্ন স্থাপনা, পোর্ট ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে পৌঁছালে এসব কোচ দিয়ে চলতি বছরে ৫টি ও আগামী বছরের জুনের মধ্যে আরও সাতটি নতুন ট্রেন চালু করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলওয়ের উন্নয়নে সরকারের নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। রেলকে আধুনিক ও মানসম্পন্ন এবং যাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই রেলের কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়ে ধারণা নিতে এখানে (চট্টগ্রাম) এসেছি।
ইতোমধ্যে ৩টি ট্রেন নতুন ট্রেন চালু হয়েছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ২২০টি কোচ দেশে পৌঁছালেই আগামী জুনের মধ্যে ১২টি নতুন ট্রেন আমরা চালু করতে পারবো। পর্যায়ক্রমে এসব ট্রেন চালু করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রংপুরে মাত্র একটি ট্রেন ‘রংপর এক্সপ্রেস’ আসা-যাওয়া করে। যেটির জন্য আমরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এখানে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদের পূর্বেই ২৬ কোচের আরেকটি নতুন মিটারগেজ ট্রেন রংপুরে চালানোর চেষ্টা করবো।
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট যে ডিভিশনটা, সেখানে বগুড়া, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এই অঞ্চলে মিটারগেজ ট্রেন চলাচল করে। সেখানে ২টা ট্রেন দেওয়ার পরে পূর্বাঞ্চলের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে তা পূরণ করা হবে।
আসন্ন ঈদযাত্রায় রেলের প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে গতবারের মতো ৮টি বিশেষ ট্রেন চালু করবো। এছাড়াও বিভিন্ন ট্রেনে অতিরিক্ত ১৪০০ কোচ সংযুক্ত করা হবে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীরা এবারও ৫০ শতাংশ টিকিট অ্যাপসের মাধ্যমে নিতে পারবে।
এসময় রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামসুজ্জামান, এডিজি (আরএস) ওমর ফারুক, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এসএম মুরাদ হোসেন, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সুভক্ত গিন, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২৫ জুলাই, ২০১৯ ০১:১৫

চলতি বছরেই রেলে ২২০টি অত্যাধুনিক কোচ যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
বুধবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলি কারখানায় পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রেলমন্ত্রী প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম নগরে এসে হালিশহরের রেলওয়ের ট্রেনিং একাডেমি, রেলওয়ে বিভিন্ন স্থাপনা, পোর্ট ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে পৌঁছালে এসব কোচ দিয়ে চলতি বছরে ৫টি ও আগামী বছরের জুনের মধ্যে আরও সাতটি নতুন ট্রেন চালু করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলওয়ের উন্নয়নে সরকারের নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। রেলকে আধুনিক ও মানসম্পন্ন এবং যাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই রেলের কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়ে ধারণা নিতে এখানে (চট্টগ্রাম) এসেছি।
ইতোমধ্যে ৩টি ট্রেন নতুন ট্রেন চালু হয়েছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ২২০টি কোচ দেশে পৌঁছালেই আগামী জুনের মধ্যে ১২টি নতুন ট্রেন আমরা চালু করতে পারবো। পর্যায়ক্রমে এসব ট্রেন চালু করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রংপুরে মাত্র একটি ট্রেন ‘রংপর এক্সপ্রেস’ আসা-যাওয়া করে। যেটির জন্য আমরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এখানে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদের পূর্বেই ২৬ কোচের আরেকটি নতুন মিটারগেজ ট্রেন রংপুরে চালানোর চেষ্টা করবো।
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট যে ডিভিশনটা, সেখানে বগুড়া, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এই অঞ্চলে মিটারগেজ ট্রেন চলাচল করে। সেখানে ২টা ট্রেন দেওয়ার পরে পূর্বাঞ্চলের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে তা পূরণ করা হবে।
আসন্ন ঈদযাত্রায় রেলের প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে গতবারের মতো ৮টি বিশেষ ট্রেন চালু করবো। এছাড়াও বিভিন্ন ট্রেনে অতিরিক্ত ১৪০০ কোচ সংযুক্ত করা হবে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীরা এবারও ৫০ শতাংশ টিকিট অ্যাপসের মাধ্যমে নিতে পারবে।
এসময় রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামসুজ্জামান, এডিজি (আরএস) ওমর ফারুক, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এসএম মুরাদ হোসেন, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সুভক্ত গিন, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা প্রমুখ।