লিবিয়ায় ডুবে যাওয়া নৌকায় বাংলাদেশি কেউ ‘ছিল না’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জুলাই, ২০১৯ ১৯:৫৪
ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার যে নৌকাটি ডুবেছে, তাতে বাংলাদেশি কেউ ছিল না।
শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির আল খোমস থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করে অভিবাসীবাহী কাঠের নৌকাটি। কিন্তু আল খোমস বন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে নৌকাটি ডুবে যায়। দেশটির কোস্টগার্ড তাৎক্ষণিকভাবে ১৪০ জনকে উদ্ধার করে লিবিয়া ফেরত পাঠায়।
ঘটনার পরপর জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র চারলি ইয়েজলি জানান, উদ্ধারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে অন্তত ১৫০ জন শরণার্থী সাগরে ডুবে নিহত হয়েছেন। তবে লিবিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, অন্তত ১১৬ জন নিখোঁজ আর উদ্ধার পেয়েছে ১৩২ জন। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, কাঠের নৌকাটিতে দুই শতাধিক শরণার্থী ছিল।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মতে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ২০১৭ সালে প্রায় তিন হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। একে শরণার্থীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ মনে করা হয়। ২০০০ সালের পর থেকে থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার অভিবাসী এই পথে ডুবে মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ রয়েছে।
এ বছরের প্রথম চার মাসে ভূমধ্যসাগরের একই রুটে প্রায় ১৬৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মে মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে শরণার্থী নৌকা উল্টে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়। লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছরই এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জুলাই, ২০১৯ ১৯:৫৪

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার যে নৌকাটি ডুবেছে, তাতে বাংলাদেশি কেউ ছিল না।
শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির আল খোমস থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করে অভিবাসীবাহী কাঠের নৌকাটি। কিন্তু আল খোমস বন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে নৌকাটি ডুবে যায়। দেশটির কোস্টগার্ড তাৎক্ষণিকভাবে ১৪০ জনকে উদ্ধার করে লিবিয়া ফেরত পাঠায়।
ঘটনার পরপর জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র চারলি ইয়েজলি জানান, উদ্ধারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে অন্তত ১৫০ জন শরণার্থী সাগরে ডুবে নিহত হয়েছেন। তবে লিবিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, অন্তত ১১৬ জন নিখোঁজ আর উদ্ধার পেয়েছে ১৩২ জন। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, কাঠের নৌকাটিতে দুই শতাধিক শরণার্থী ছিল।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মতে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ২০১৭ সালে প্রায় তিন হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। একে শরণার্থীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ মনে করা হয়। ২০০০ সালের পর থেকে থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার অভিবাসী এই পথে ডুবে মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ রয়েছে।
এ বছরের প্রথম চার মাসে ভূমধ্যসাগরের একই রুটে প্রায় ১৬৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মে মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে শরণার্থী নৌকা উল্টে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়। লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছরই এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছেন।