বন্যায় ৭৫ জনের প্রাণহানি: প্রতিমন্ত্রী এনামুর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ জুলাই, ২০১৯ ১৪:৩৯
সারাদেশে বন্যায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। রবিবার দুপুরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের বরাত দিয়ে গত ২৬ জুলাই এক প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা জানায়, এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এনামুর রহমান জানান, বন্যায় ৪৫টি গবাদিপশু ও ২২ হাজার ৩৩৯টি হাঁস-মুরগি মারা গেছে। ছয় হাজার ৫৩টি পরিবার ও ৩৩ হাজার ৭৩৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি বাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত হয়েছে ২৮টি জেলা, ১৬৩টি উপজেলা, ৪৯টি পৌরসভা ও ৯৬১টি ইউনিয়ন। এছাড়া আট হাজার ২০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যাকবলিতদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত সবাই ত্রাণ চান না। বেশিরভাগই বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ এবং দুর্যোগ সহনীয় বাংলাদেশ চান। যারা ত্রাণ চান, তারা দরিদ্র। তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।’
‘পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আল্লাহ না করুক, বন্যা যদি দীর্ঘায়িতও হয়, ভয়ের কোনও কারণ নেই।’ বলেন এনামুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, পানি কমতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ১৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে। এসব পয়েন্টে পানি ১-২৭ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
এ সময় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ভারী বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করেছে। আগামী ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে না, মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ জুলাই, ২০১৯ ১৪:৩৯

সারাদেশে বন্যায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। রবিবার দুপুরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের বরাত দিয়ে গত ২৬ জুলাই এক প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা জানায়, এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এনামুর রহমান জানান, বন্যায় ৪৫টি গবাদিপশু ও ২২ হাজার ৩৩৯টি হাঁস-মুরগি মারা গেছে। ছয় হাজার ৫৩টি পরিবার ও ৩৩ হাজার ৭৩৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি বাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত হয়েছে ২৮টি জেলা, ১৬৩টি উপজেলা, ৪৯টি পৌরসভা ও ৯৬১টি ইউনিয়ন। এছাড়া আট হাজার ২০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যাকবলিতদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত সবাই ত্রাণ চান না। বেশিরভাগই বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ এবং দুর্যোগ সহনীয় বাংলাদেশ চান। যারা ত্রাণ চান, তারা দরিদ্র। তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।’
‘পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আল্লাহ না করুক, বন্যা যদি দীর্ঘায়িতও হয়, ভয়ের কোনও কারণ নেই।’ বলেন এনামুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, পানি কমতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ১৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে। এসব পয়েন্টে পানি ১-২৭ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
এ সময় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ভারী বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করেছে। আগামী ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে না, মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে।