দেশে অস্বাভাবিক সরকার থাকলে একটি শ্রেণির লাভ হয়: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০১৯ ২০:১৩
দেশে অসাংবিধানিক এবং অস্বাভাবিক সরকার বা মার্শাল ‘ল’ থাকলেই একটি শ্রেণির লোকজনের খুব লাভ হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিবিসি-তে প্রচারিত এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা শ্রেণি আছে যারা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারটা বেশি করে চালাচ্ছে। দেশে অসাংবিধানিক এবং অস্বাভাবিক সরকার বা মার্শাল ‘ল’ থাকলেই তাদের খুব লাভ হয়।”
তিনি বলেন, “তারা সারাক্ষণ আমাদের নানা খুঁটিনাটি দোষত্রুটি খুঁজে বের করতে লেগেই আছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমার কথা হলো আমার দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে কি না, তারা ভালো আছে কি না।”
হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সত্যিকথা বলতে কি, এ ধরনের কোনো মানসিকতা আমাদের নেই এবং আমরা সেটা করিও না।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ঘটনাচক্রে কিছু (দু-একটি) ঘটনা ঘটতে পারে। বরং আপনি যদি গত ১০ বছরে আমাদের অবস্থানটা দেখেন- আমরা কিন্তু অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।”
তিনি বলেন, “আপনি আমার নিজের কথাটাই চিন্তা করেন- যখন আমি আমার বাবা-মা-ভাইদের সব হারালাম, খুনিদেরকে বিচার না করে ইনডেমনিটি দেওয়া হলো, অর্থাৎ আপনি অপরাধকে প্রশ্রয় দিলেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাকে বিচার পেতে ৩৫টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। যে দেশে অপরাধকে স্বীকৃতি দিয়েই একটা সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, সেই দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়।”
“তবে আমরা যেকোনো অপরাধের জন্য কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন ওইভাবে কখনোই হেফাজতে মৃত্যু হয় না বা নির্যাতনও যে খুব একটা করা হয় তাও নয়” যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে অপরাধীদের থেকে তথ্য সংগ্রহের যে কতগুলো নিয়ম রয়েছে-সেজন্য আমরা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসি। তারা এজন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহুদেশে থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০১৯ ২০:১৩

দেশে অসাংবিধানিক এবং অস্বাভাবিক সরকার বা মার্শাল ‘ল’ থাকলেই একটি শ্রেণির লোকজনের খুব লাভ হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার বিবিসি-তে প্রচারিত এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা শ্রেণি আছে যারা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারটা বেশি করে চালাচ্ছে। দেশে অসাংবিধানিক এবং অস্বাভাবিক সরকার বা মার্শাল ‘ল’ থাকলেই তাদের খুব লাভ হয়।”
তিনি বলেন, “তারা সারাক্ষণ আমাদের নানা খুঁটিনাটি দোষত্রুটি খুঁজে বের করতে লেগেই আছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমার কথা হলো আমার দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে কি না, তারা ভালো আছে কি না।”
হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সত্যিকথা বলতে কি, এ ধরনের কোনো মানসিকতা আমাদের নেই এবং আমরা সেটা করিও না।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ঘটনাচক্রে কিছু (দু-একটি) ঘটনা ঘটতে পারে। বরং আপনি যদি গত ১০ বছরে আমাদের অবস্থানটা দেখেন- আমরা কিন্তু অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।”
তিনি বলেন, “আপনি আমার নিজের কথাটাই চিন্তা করেন- যখন আমি আমার বাবা-মা-ভাইদের সব হারালাম, খুনিদেরকে বিচার না করে ইনডেমনিটি দেওয়া হলো, অর্থাৎ আপনি অপরাধকে প্রশ্রয় দিলেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাকে বিচার পেতে ৩৫টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। যে দেশে অপরাধকে স্বীকৃতি দিয়েই একটা সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, সেই দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়।”
“তবে আমরা যেকোনো অপরাধের জন্য কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন ওইভাবে কখনোই হেফাজতে মৃত্যু হয় না বা নির্যাতনও যে খুব একটা করা হয় তাও নয়” যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে অপরাধীদের থেকে তথ্য সংগ্রহের যে কতগুলো নিয়ম রয়েছে-সেজন্য আমরা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসি। তারা এজন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহুদেশে থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।