যাত্রীরা চাইলে অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দেবে রেলওয়ে
খাইরুল বাশার | ১০ আগস্ট, ২০১৯ ২৩:০৮
কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রী। ছবি: দেশ রূপান্তর
ঈদযাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীদের কেউ চাইলে তাদের অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
আগাম টিকিটে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে বেশির ভাগ ট্রেন সময়মতো ছাড়লেও দ্বিতীয় দিনে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় সময়সূচি; আর তৃতীয় দিনেই লন্ডভন্ড শিডিউল এবং চতুর্থ দিনে তা মহাবিপর্যয় ডেকে আনে। সর্বোচ্চ ১৩ ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে বেশ কয়েকটি ট্রেন শনিবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে একাধিক ট্রেনের ক্ষেত্রে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বের শঙ্কা প্রকাশ করেছে রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা। এ ছাড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনসহ মেইল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেনগুলোও নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৫৮টি ট্রেনের মধ্যে ১৪টি আন্তনগরসহ ২৮টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার টাঙ্গাইলে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে স্টেশনগুলোতে ট্রেন বেশি সময় থামতে হচ্ছে; ফলে নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারছে না।
রেলওয়ে সচিব মোফাজ্জেল হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শিডিউলের দেরিতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পড়ছে তা আমরা দেখতে পারছি; তাই কেউ যদি যেতে না চায় তাহলে অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা চলছে।’
সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হাজারো ঘরমুখো মানুষ ভিড় জমিয়েছে। ব্যাগ-লাগেজসহ স্ত্রী-সন্তান বা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন অসংখ্য যাত্রী। কেউ কেউ পত্রিকা পড়ে বা গল্পগুজবে সময় পার করছেন। অনেকেই আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন স্টেশন চত্বরে। সবার একটাই চিন্তা, কখন ছাড়বে ট্রেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রা করছে অনেকে।
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টায়ও ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যেতে পারেনি। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরি করে ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ স্টেশন ত্যাগ করে। চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয় সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় রাত ৯ টায়। এ ছাড়া সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের লালমনি ঈদ স্পেশাল এর সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেড় ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
খাইরুল বাশার | ১০ আগস্ট, ২০১৯ ২৩:০৮

ঈদযাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীদের কেউ চাইলে তাদের অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
আগাম টিকিটে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে বেশির ভাগ ট্রেন সময়মতো ছাড়লেও দ্বিতীয় দিনে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় সময়সূচি; আর তৃতীয় দিনেই লন্ডভন্ড শিডিউল এবং চতুর্থ দিনে তা মহাবিপর্যয় ডেকে আনে। সর্বোচ্চ ১৩ ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে বেশ কয়েকটি ট্রেন শনিবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে একাধিক ট্রেনের ক্ষেত্রে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বের শঙ্কা প্রকাশ করেছে রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা। এ ছাড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনসহ মেইল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেনগুলোও নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৫৮টি ট্রেনের মধ্যে ১৪টি আন্তনগরসহ ২৮টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার টাঙ্গাইলে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে স্টেশনগুলোতে ট্রেন বেশি সময় থামতে হচ্ছে; ফলে নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারছে না।
রেলওয়ে সচিব মোফাজ্জেল হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শিডিউলের দেরিতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পড়ছে তা আমরা দেখতে পারছি; তাই কেউ যদি যেতে না চায় তাহলে অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা চলছে।’
সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হাজারো ঘরমুখো মানুষ ভিড় জমিয়েছে। ব্যাগ-লাগেজসহ স্ত্রী-সন্তান বা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন অসংখ্য যাত্রী। কেউ কেউ পত্রিকা পড়ে বা গল্পগুজবে সময় পার করছেন। অনেকেই আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন স্টেশন চত্বরে। সবার একটাই চিন্তা, কখন ছাড়বে ট্রেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রা করছে অনেকে।
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টায়ও ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যেতে পারেনি। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরি করে ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ স্টেশন ত্যাগ করে। চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয় সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় রাত ৯ টায়। এ ছাড়া সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের লালমনি ঈদ স্পেশাল এর সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেড় ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে।