চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৮:১২
কাঁচা চামড়া রপ্তানি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ বলেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হলে চামড়া শিল্প নগরীতে সাত হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। সাভারের আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী তখন কাঁচামালের অভাবে অকেজো হয়ে পড়বে। এই শিল্পের সাথে জড়িত বিস্তর জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিবৃতিতে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ট্যানার্স অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি শাহিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা মনে করি, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। আমরা সরকার ও জনগণকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আগামী ২০ অগাস্ট থেকে আমরা সরকারনির্ধারিত দামেই লবণ দেওয়া চামড়া কেনা শুরু করব। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বলব, আপনারা লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করুন।
ঢাকায় এবার প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি ব্যবসায়ীদের। আর খাসির কাঁচা চামড়া সারাদেশে ১৮-২০ এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকা দরে কেনাবেচা হওয়ার কথা।
ট্যানারিগুলোর কাছে ৩০০ কোটি টাকা বকেয়া থাকার যে অভিযোগ পাইকাররা করছে, তা অস্বীকার করে শাহিন বলেন, আড়তদাররা বকেয়া টাকা না পাওয়ার কথা বলে প্রান্তিক মানুষের কাছ থেকে কম দামে চামড়া কিনেছে। বড় আড়তদাররা এবার চামড়ার বাজারটাকে ম্যানুপুলেট করেছে।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসেসিয়েশনের মহাসচিব শাখাওয়াত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৮:১২

কাঁচা চামড়া রপ্তানি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ বলেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানি করা হলে চামড়া শিল্প নগরীতে সাত হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। সাভারের আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী তখন কাঁচামালের অভাবে অকেজো হয়ে পড়বে। এই শিল্পের সাথে জড়িত বিস্তর জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিবৃতিতে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ট্যানার্স অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি শাহিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা মনে করি, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। আমরা সরকার ও জনগণকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আগামী ২০ অগাস্ট থেকে আমরা সরকারনির্ধারিত দামেই লবণ দেওয়া চামড়া কেনা শুরু করব। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বলব, আপনারা লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করুন।
ঢাকায় এবার প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি ব্যবসায়ীদের। আর খাসির কাঁচা চামড়া সারাদেশে ১৮-২০ এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকা দরে কেনাবেচা হওয়ার কথা।
ট্যানারিগুলোর কাছে ৩০০ কোটি টাকা বকেয়া থাকার যে অভিযোগ পাইকাররা করছে, তা অস্বীকার করে শাহিন বলেন, আড়তদাররা বকেয়া টাকা না পাওয়ার কথা বলে প্রান্তিক মানুষের কাছ থেকে কম দামে চামড়া কিনেছে। বড় আড়তদাররা এবার চামড়ার বাজারটাকে ম্যানুপুলেট করেছে।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসেসিয়েশনের মহাসচিব শাখাওয়াত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।