রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ঠিক হয়নি: পররাষ্ট্র সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ আগস্ট, ২০১৯ ২০:৫৪
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন এ মাসেই শুরু হবে বলে জানালেও পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানাতে রাজি হননি।
রাজধানীতে রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিষয়টি (প্রত্যাবাসন) এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যেকোনো সময় শুরু হবে।”
সম্প্রতি রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে আগামী ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে জানায়। চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নূরুল আলম নেজামী জানান, দিনটিকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব। তাদের কল্যাণেই এটা করা হবে। যদি তারা ফিরে না যায়, তাহলে তারা শুধু ভূমির অধিকারই নয়, সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে রোববার জরুরি বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নূরুল আলম নেজামী বলেন, “২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছি। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো এ কার্যক্রম আরও বাড়ানো হব।”
প্রত্যাবাসন কিভাবে হবে, কোন দিক দিয়ে যাবে, কিভাবে যাবে সেসব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে রোহিঙ্গা তাদের নিজভূমে ফিরতে আগ্রহী কিনা তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান নূরুল আলম নেজামী।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত আরআরসি শামসুদ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়াল কামালসহ সেনাবাহিনী ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ আগস্ট, ২০১৯ ২০:৫৪

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন এ মাসেই শুরু হবে বলে জানালেও পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানাতে রাজি হননি।
রাজধানীতে রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিষয়টি (প্রত্যাবাসন) এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যেকোনো সময় শুরু হবে।”
সম্প্রতি রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে আগামী ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে জানায়। চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নূরুল আলম নেজামী জানান, দিনটিকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব। তাদের কল্যাণেই এটা করা হবে। যদি তারা ফিরে না যায়, তাহলে তারা শুধু ভূমির অধিকারই নয়, সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে রোববার জরুরি বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নূরুল আলম নেজামী বলেন, “২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছি। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো এ কার্যক্রম আরও বাড়ানো হব।”
প্রত্যাবাসন কিভাবে হবে, কোন দিক দিয়ে যাবে, কিভাবে যাবে সেসব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে রোহিঙ্গা তাদের নিজভূমে ফিরতে আগ্রহী কিনা তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান নূরুল আলম নেজামী।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত আরআরসি শামসুদ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়াল কামালসহ সেনাবাহিনী ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন।