ভূমি সেবায় আসছে ই-পেমেন্ট গেটওয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:২১
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পেমেন্ট গেটওয়ে চালু হলে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ভূমি সেবায় একটি নতুন দিগন্ত শুরু হবে।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে a2i এর সহযোগিতায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় ভূমি ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিন দিন ব্যাপী ‘ই-নামজারি সঞ্জীবনী কর্মশালার’ দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান কালে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপস্থিত কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী সরকারি জমি উদ্ধারে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি জমির অবৈধ দখলকে ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে বিচার করার আইন প্রস্তুতের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতির কারণে আমরা আমাদের যথার্থ জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। নিজ উদ্যোগে যেসব কর্মকর্তা ভূমি সেবা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন মন্ত্রী তাঁদের প্রশংসা করেন এবং অন্যদেরও এমন করতে উৎসাহ প্রদান করেন।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব),উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কানুনগো, সার্ভেয়ার, অফিস সহকারী, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন। বুধবার কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরতগণ।
উল্লেখ্য, পেমেন্ট গেটওয়ে লেনদেনকে নির্ভরযোগ্য করে তোলার জন্য কার্যকর ও সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম। এর আগে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের তিনজন কর্মকর্তা তাদের বক্তব্যে নিজ অভিজ্ঞতা ও ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. সেলিম রেজা, স্থানীয় সরকার পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী এবং এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।
মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে যে সকল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করা, এবং সেই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান বের করার চেষ্টা করাই সঞ্জীবনী কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। ‘ই-নামজারি’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (www.land.gov.bd) একটি অংশ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:২১

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পেমেন্ট গেটওয়ে চালু হলে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ভূমি সেবায় একটি নতুন দিগন্ত শুরু হবে।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে a2i এর সহযোগিতায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় ভূমি ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিন দিন ব্যাপী ‘ই-নামজারি সঞ্জীবনী কর্মশালার’ দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান কালে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপস্থিত কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী সরকারি জমি উদ্ধারে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি জমির অবৈধ দখলকে ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে বিচার করার আইন প্রস্তুতের কাজ চলছে। মন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতির কারণে আমরা আমাদের যথার্থ জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। নিজ উদ্যোগে যেসব কর্মকর্তা ভূমি সেবা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন মন্ত্রী তাঁদের প্রশংসা করেন এবং অন্যদেরও এমন করতে উৎসাহ প্রদান করেন। কর্মশালায় জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব),উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কানুনগো, সার্ভেয়ার, অফিস সহকারী, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন। বুধবার কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরতগণ। উল্লেখ্য, পেমেন্ট গেটওয়ে লেনদেনকে নির্ভরযোগ্য করে তোলার জন্য কার্যকর ও সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম। এর আগে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের তিনজন কর্মকর্তা তাদের বক্তব্যে নিজ অভিজ্ঞতা ও ভাবনার কথা তুলে ধরেন। ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. সেলিম রেজা, স্থানীয় সরকার পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী এবং এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে যে সকল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করা, এবং সেই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান বের করার চেষ্টা করাই সঞ্জীবনী কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। ‘ই-নামজারি’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (www.land.gov.bd) একটি অংশ।