‘খালেদা জিয়া ও তারেকের জ্ঞাতসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল’
অনলাইন ডেস্ক | ২১ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:১৫
খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার জ্ঞাতসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ওই গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে হাছান মাহমুদ এখনও শরীরে ৪০ টি স্প্রিন্টার বহন করছেন। খবর বাসসের।
তিনি বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলার স্মারকবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২১ আগস্টে তৎকালীন বিরোধী দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলার দায় বেগম খালেদা জিয়ারও রয়েছে। তিনি এ হামলার দায় এড়াতে পারেন না।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তার পুত্রের পরিচালনায় এ হামলা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতে দেয়া কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তৎকালীন ডিজিএফআই তদন্ত করতে চাইলে তাদেরকে ধমক দেন বেগম জিয়া। এ কারণে এ হামলায় তারও দায় রয়েছে, যা তিনি এড়াতে পারেন না।
মন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলা শুধু মর্মান্তিকই নয়, জাতির জীবনে এক ন্যক্কারজনক ঘটনা। কারণ তৎকালীন বিএনপি সরকার এ নৃশংস হামলার তদন্ত ও বিচারে পদে পদে বাধা দিয়েছে। এমনকি আহতদের উদ্ধারকারীদের ওপরই ছিল পুলিশের লাঠিচার্জ। হামলার বিষয়ে সাজানো তদন্তে জগাখিচুড়ি রিপোর্টে সেসময় বলা হয়, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এই হামলায় জড়িত, বিচারে সাজানো হয় ‘জজ মিয়া’ নাটক।
মন্ত্রী এ সময় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি-জামাতচক্র এখনো বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে ও চক্রান্তকারীদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকার কথা বলেন তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২১ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:১৫

খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার জ্ঞাতসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ওই গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে হাছান মাহমুদ এখনও শরীরে ৪০ টি স্প্রিন্টার বহন করছেন। খবর বাসসের।
তিনি বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলার স্মারকবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২১ আগস্টে তৎকালীন বিরোধী দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলার দায় বেগম খালেদা জিয়ারও রয়েছে। তিনি এ হামলার দায় এড়াতে পারেন না।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তার পুত্রের পরিচালনায় এ হামলা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতে দেয়া কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তৎকালীন ডিজিএফআই তদন্ত করতে চাইলে তাদেরকে ধমক দেন বেগম জিয়া। এ কারণে এ হামলায় তারও দায় রয়েছে, যা তিনি এড়াতে পারেন না।
মন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলা শুধু মর্মান্তিকই নয়, জাতির জীবনে এক ন্যক্কারজনক ঘটনা। কারণ তৎকালীন বিএনপি সরকার এ নৃশংস হামলার তদন্ত ও বিচারে পদে পদে বাধা দিয়েছে। এমনকি আহতদের উদ্ধারকারীদের ওপরই ছিল পুলিশের লাঠিচার্জ। হামলার বিষয়ে সাজানো তদন্তে জগাখিচুড়ি রিপোর্টে সেসময় বলা হয়, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এই হামলায় জড়িত, বিচারে সাজানো হয় ‘জজ মিয়া’ নাটক।
মন্ত্রী এ সময় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি-জামাতচক্র এখনো বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে ও চক্রান্তকারীদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকার কথা বলেন তিনি।