পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের অসহযোগিতার অভিযোগ ভিত্তিহীন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ০১:৩৭
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: এএফপি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ অসহযোগিতা করছে বলে মিয়ানমার সরকার যে অভিযোগ করেছে তাকে ভিত্তিহীন বলেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত।
গত শনিবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। মিয়ানমারের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অসহযোগিতার অভিযোগ আনা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে চলেছে।
এ ছাড়া মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আহ্বান জানিয়ে আসছে। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানোর লক্ষ্যে সেখানকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উন্নয়নে মিয়ানমারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ৩৩৯টি পরিবারের ১ হাজার ২৭৬ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। তবে এসব রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যেতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা রাখাইনের পরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলে সেখানে যেতে রাজি হয়নি। সে কারণে রাখাইনের পরিবেশ উন্নয়নে মিয়ানমারকেই ভূমিকা নিতে হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ০১:৩৭

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ অসহযোগিতা করছে বলে মিয়ানমার সরকার যে অভিযোগ করেছে তাকে ভিত্তিহীন বলেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত।
গত শনিবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। মিয়ানমারের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অসহযোগিতার অভিযোগ আনা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে চলেছে।
এ ছাড়া মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আহ্বান জানিয়ে আসছে। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানোর লক্ষ্যে সেখানকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উন্নয়নে মিয়ানমারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ৩৩৯টি পরিবারের ১ হাজার ২৭৬ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। তবে এসব রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যেতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা রাখাইনের পরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলে সেখানে যেতে রাজি হয়নি। সে কারণে রাখাইনের পরিবেশ উন্নয়নে মিয়ানমারকেই ভূমিকা নিতে হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়।