কেলেঙ্কারি প্রমাণিত হলে ‘গুরুদণ্ড হতে পারে’ ডিসি কবীরের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:৫১
খাস কামরায় কেলেঙ্কারির ঘটনায় ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শাস্তি হবে ইনশা আল্লাহ। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তদন্তে প্রমাণিত না হলে কাউকে শাস্তি দেওয়া কঠিন। সে জন্য জামালপুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টা দেখবে। টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যানিপুলেশন থাকে, তারা সেটাও যাচাই করবে এক্সপার্ট দিয়ে। সেজন্য এক্সপার্টও সাথে রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী ধরনের শাস্তি হতে পারে জানতে চাইলে ‘গুরুদণ্ড হতে পারে’ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল রুল যেটা- সেখানে ডিসমিসাল হতে পারে চাকরি থেকে (চাকরিচ্যুতি), রিমুভাল হতে পারে, অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি সুপারিশ করলে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়া দুইটি ভিডিওতে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ভিডিওটি জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অফিসের বিশ্রাম কক্ষ বা খাস কামরা হিসেবে দাবি করে বলা হচ্ছে- পুরুষটি জেলা প্রশাসক নিজে এবং অন্যজন তার দপ্তরের একজন অফিস সহকারী।
এই নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে রোববার জামালপুরের জেলা প্রশাসকের পদ থেকে আহমেদ কবীরকে সরিয়ে ওএসডি করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ১৯:৫১

খাস কামরায় কেলেঙ্কারির ঘটনায় ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শাস্তি হবে ইনশা আল্লাহ। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তদন্তে প্রমাণিত না হলে কাউকে শাস্তি দেওয়া কঠিন। সে জন্য জামালপুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টা দেখবে। টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যানিপুলেশন থাকে, তারা সেটাও যাচাই করবে এক্সপার্ট দিয়ে। সেজন্য এক্সপার্টও সাথে রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী ধরনের শাস্তি হতে পারে জানতে চাইলে ‘গুরুদণ্ড হতে পারে’ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল রুল যেটা- সেখানে ডিসমিসাল হতে পারে চাকরি থেকে (চাকরিচ্যুতি), রিমুভাল হতে পারে, অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি সুপারিশ করলে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়া দুইটি ভিডিওতে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ভিডিওটি জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অফিসের বিশ্রাম কক্ষ বা খাস কামরা হিসেবে দাবি করে বলা হচ্ছে- পুরুষটি জেলা প্রশাসক নিজে এবং অন্যজন তার দপ্তরের একজন অফিস সহকারী।
এই নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে রোববার জামালপুরের জেলা প্রশাসকের পদ থেকে আহমেদ কবীরকে সরিয়ে ওএসডি করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।