ভারত থেকে আরো ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিতে চায় বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ২১:১৮
ভারত থকে আরো ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
আহমদ কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় আমরা এমন একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রস্তাবটির কারিগরি দিক সমীক্ষা করতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভেড়ামারা সাবস্টেশন হয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা হয়ে ১৬০ মেগাওয়াট আসছে।
ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে চলমান এ বিদ্যুৎ বাণিজ্যে আরো ৩৪০ মেগাওয়াট যুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৭তম যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় নিজ দেশের নেতৃত্ব দেওয়া ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সুভাষ চন্দ্র গার্গ বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে উভয় পক্ষ খুশি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে।
ড. কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশ দেখেছে যে প্রস্তাবিত ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি কারিগরি ও আর্থিকভাবে যৌক্তিক হবে না। কারণ ত্রিপুরা থেকে সঞ্চালন ব্যবস্থা ‘দুর্বল’।
তিনি জানান, কুমিল্লা অঞ্চলে এখন বাংলাদেশের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে, যা স্বল্প খরচে গ্যাস-ভিত্তিক কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। তাই, আমরা চাই প্রস্তাবিত ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের মতো এলাকার জন্য আমদানি করতে। সেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে উচ্চ খরচে তরল জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
কায়কাউস বলেন, যদি উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশ শীতের অফ-পিক মৌসুমে ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানিও করতে চায়। কারণ, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বা সেখানে রপ্তানি নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এমন বাণিজ্য অনুমোদন করে।
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাসের মধ্যে এর নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ২১:১৮

ভারত থকে আরো ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
আহমদ কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় আমরা এমন একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রস্তাবটির কারিগরি দিক সমীক্ষা করতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভেড়ামারা সাবস্টেশন হয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা হয়ে ১৬০ মেগাওয়াট আসছে।
ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে চলমান এ বিদ্যুৎ বাণিজ্যে আরো ৩৪০ মেগাওয়াট যুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৭তম যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় নিজ দেশের নেতৃত্ব দেওয়া ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সুভাষ চন্দ্র গার্গ বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে উভয় পক্ষ খুশি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে।
ড. কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশ দেখেছে যে প্রস্তাবিত ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি কারিগরি ও আর্থিকভাবে যৌক্তিক হবে না। কারণ ত্রিপুরা থেকে সঞ্চালন ব্যবস্থা ‘দুর্বল’।
তিনি জানান, কুমিল্লা অঞ্চলে এখন বাংলাদেশের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে, যা স্বল্প খরচে গ্যাস-ভিত্তিক কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। তাই, আমরা চাই প্রস্তাবিত ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের মতো এলাকার জন্য আমদানি করতে। সেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে উচ্চ খরচে তরল জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
কায়কাউস বলেন, যদি উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশ শীতের অফ-পিক মৌসুমে ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানিও করতে চায়। কারণ, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বা সেখানে রপ্তানি নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এমন বাণিজ্য অনুমোদন করে।
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাসের মধ্যে এর নির্মাণ সম্পন্ন হবে।