বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ বাংলাদেশে তৈরির প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৯:২৭
জার্মানির উচ্চপর্যায়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সোমবার অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিশ্বখ্যাত বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি বাংলাদেশে তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানি। জার্মানি থাইল্যান্ডে যেভাবে প্রগতিশীল উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে অ্যাসেম্বল করে, সেভাবেই এখানেও করতে চায় বলে জানিয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব বলেন।
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে জার্মানির উচ্চপর্যায়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। দলটি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজের নেতৃত্বে সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, জার্মানি বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ'র কিছু পার্টস এখানেই তৈরি করবে এবং কিছু পার্টস বিদেশ থেকে নিয়ে আসবে। পরে এটা এখানে অ্যাসেম্বল করবে। বিষয়টি নিয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন এবং সে আলোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি খুব উত্তম প্রস্তাব কেন না তাহলে আর আমাদের ব্যয়বহুল গাড়ি আমদানি করতে হবে না। আরেকটি অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব হচ্ছে, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আমাদের জিএসপি সুবিধা যেন বাতিল হয়ে না যায় এ বিষয়ে তারা সর্বোতভাবে সহায়তা করবেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, জার্মানির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সুপ্রাচীন, অনেক আগে থেকে তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করে আসছে। এ মুহূর্তে তারা আমাদের প্রস্তাব দিচ্ছেন যে, তারা বড় আকারে আমাদের পাটশিল্পকে ব্যবহার করতে চান। আমাদের এক সময়ের প্রধান রপ্তানি আয়ের সোনালী আঁশ পাটশিল্প ব্যবস্থাপনা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই এটা অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব। আর মার্সিটিজের ভেতরে পাটের অনেক ব্যবহার রয়েছে। জার্মানির যত গাড়ি আছে, প্রায় সব গাড়ির ভেতরে পাটের অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে।
অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে সঙ্গে নিয়ে জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের এ সফরের আয়োজন করে। এই দলে বস্ত্র, আসবাবপত্র, জাহাজ থেকে শুরু করে পরিবেশ-প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও পর্যটন খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৯:২৭

বিশ্বখ্যাত বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি বাংলাদেশে তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানি। জার্মানি থাইল্যান্ডে যেভাবে প্রগতিশীল উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে অ্যাসেম্বল করে, সেভাবেই এখানেও করতে চায় বলে জানিয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব বলেন।
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে জার্মানির উচ্চপর্যায়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। দলটি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজের নেতৃত্বে সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, জার্মানি বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ'র কিছু পার্টস এখানেই তৈরি করবে এবং কিছু পার্টস বিদেশ থেকে নিয়ে আসবে। পরে এটা এখানে অ্যাসেম্বল করবে। বিষয়টি নিয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন এবং সে আলোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি খুব উত্তম প্রস্তাব কেন না তাহলে আর আমাদের ব্যয়বহুল গাড়ি আমদানি করতে হবে না। আরেকটি অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব হচ্ছে, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আমাদের জিএসপি সুবিধা যেন বাতিল হয়ে না যায় এ বিষয়ে তারা সর্বোতভাবে সহায়তা করবেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, জার্মানির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সুপ্রাচীন, অনেক আগে থেকে তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করে আসছে। এ মুহূর্তে তারা আমাদের প্রস্তাব দিচ্ছেন যে, তারা বড় আকারে আমাদের পাটশিল্পকে ব্যবহার করতে চান। আমাদের এক সময়ের প্রধান রপ্তানি আয়ের সোনালী আঁশ পাটশিল্প ব্যবস্থাপনা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই এটা অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব। আর মার্সিটিজের ভেতরে পাটের অনেক ব্যবহার রয়েছে। জার্মানির যত গাড়ি আছে, প্রায় সব গাড়ির ভেতরে পাটের অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে।
অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে সঙ্গে নিয়ে জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের এ সফরের আয়োজন করে। এই দলে বস্ত্র, আসবাবপত্র, জাহাজ থেকে শুরু করে পরিবেশ-প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও পর্যটন খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।