রোহিঙ্গা মহাসমাবেশ আয়োজনে ‘জড়িতরা’ চিহ্নিত
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:১৭
২৫ আগস্ট সমাবেশ।
কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশের পেছনে কারা জড়িত ছিল তাদের শনাক্ত করেছে তদন্ত কমিটি।
ঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এনজিও ব্যুরোর কাছে পাঠানো একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মহাসমাবেশ আয়োজনে রোহিঙ্গা নেতা ছাড়াও কক্সবাজারের এনজিও, আইনজীবী, কলেজের প্রভাষক, ‘আরআরসি’র কর্মকর্তা ও পুলিশসহ একাধিক সংগঠনের কর্মকর্তারা জড়িত।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে আসার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে উখিয়ার কুতুপালং এক্সটেনশন-৪ ক্যাম্পে মহাসমাবেশ করে রোহিঙ্গারা। প্রশাসনের কোনো অনুমতি না নিয়ে কিছু রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে আরআরসি, ভয়েস অব রোহিঙ্গা, আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউমিনিটি রাইটস (এআরএসপিএইচ) এবং এনজিও সংস্থা ‘এডিআরএ’ ও ‘আল মারকাজুল ইসলামী সংস্থা’ নামে দুটি এনজিও রোহিঙ্গা সমাবেশে টি-শার্ট ও ব্যানার সরবরাহ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয় এতে আরো জড়িত ছিল, রোহিঙ্গা সংগঠন ‘এআরএসপিএইচ’র উপদেষ্টা পরিষদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীসহ কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতের একজন পিপি, দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক এবং ক্যাম্পে কর্মরত এক এএসআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের সমাবেশের আগে ‘এডিআরএ’ নামক একটি এনজিও সংস্থা গত ১৯ ও ২১ আগস্ট কক্সবাজার কলাতলিস্থ শালিক রেস্তোরাঁয় বৈঠক করে। বৈঠকে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে আড়াই লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘আল মারকাজুল ইসলামী সংস্থা’ সমাবেশে রোহিঙ্গাদের জন্য টি-শার্ট তৈরিতে সহযোগিতা করে। পরে ২৫ আগস্ট কুতুপালংয়ের মধুরছড়া এক্সটেনশন-৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশ হয়।
এতে আরো বলা হয়, এ ছাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফুটবল খেলার মাঠ মাঠে ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের পক্ষে সমাবেশ ও র্যালি করা হয়। সমাবেশ সফল করতে ডি-৫ ব্লকে ‘রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটি’ (আরআরসি) সংগঠনের চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে চাঁদা সরবরাহ করা হয়। সংগঠনের সেক্রেটারি সাইফুল হকের প্রবাসী নিকটাত্মীয় ও স্বজন থেকেও চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। বিশেষ করে লন্ডনের নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাদের প্রায় ৫/৬ মাস আগে সংগঠনের অফিস নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকা অনুদান নেয়। এই সংগঠনের মূল কমিটি ২৫ জনের। সমাবেশের টি-শার্ট তৈরি করতে ক্যাম্পে কর্মরত পুলিশের এএসআই’ বোরহান উদ্দিনের মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে যাদের চিহ্নিত করেছে তারা হলেন, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউমিনিটি রাইটস’র (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মুহিববুল্লাহ, সহসভাপতি মাস্টার আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক ও উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইঁয়া, সংগঠনটির উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দুলাল মল্লিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ফরিদুল আলম ও মৌলনা ইউসুফ, কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজারের দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি মো. আব্দুর রহিম ও ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশের এএসআই বোরহান উদ্দিন।
প্রতিবেদন মতে, রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে গঠিত ‘ভয়েস অব রোহিঙ্গা’ এবং রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটির (আরআরসি) পক্ষ থেকে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে বলা হয়, ভয়েস অব রোহিঙ্গা ৭০০ সাদা হাফ টি-শার্ট ও ২৮টি ব্যানার উখিয়া উপজেলার মসজিদ মার্কেটের নিশাত প্রিন্টার্স ও মিডিয়া প্রিন্টার্স থেকে ছাপানো হয়। রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিউনিটি (আআরসি) সংগঠনের ১০০ হাফ টি-শার্ট ছাপানো হয়েছে কক্সবাজার বাজারঘাটা শাহ মজিদিয়া প্রিন্টার্স থেকে।
তবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কিছু সংগঠন কাজ করলেও মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউমিনিটি রাইটস (এআরএসপিএইচ)’ সংগঠনটি বেশ শক্তিশালী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মুহিবুল্লাহর সংগঠনের ৩০০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন, উখিয়া সিকদার পাড়া এলাকার আব্দুল করিম ভূঁইয়ার ছেলে উখিয়া কলেজের প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূঁইয়া। ২৫ আগস্ট তিনি উপজেলার মানবাধিকার সংগঠন ‘পিসওয়ে হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে মাসুদের পূর্বপুরুষ মিয়ানমারের নাগরিক বলেও উল্লেখ করা হয়। এ সংগঠনের ৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। যারা কক্সবাজারের স্থায়ী বাসিন্দা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার’র একটি মিটিং হয়। এরপর তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন সোমবার জানিয়েছেন, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশের ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই সমাবেশের পেছনে রহস্য জানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন এনজিও ব্যুরোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:১৭

কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশের পেছনে কারা জড়িত ছিল তাদের শনাক্ত করেছে তদন্ত কমিটি।
ঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এনজিও ব্যুরোর কাছে পাঠানো একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মহাসমাবেশ আয়োজনে রোহিঙ্গা নেতা ছাড়াও কক্সবাজারের এনজিও, আইনজীবী, কলেজের প্রভাষক, ‘আরআরসি’র কর্মকর্তা ও পুলিশসহ একাধিক সংগঠনের কর্মকর্তারা জড়িত।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে আসার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে উখিয়ার কুতুপালং এক্সটেনশন-৪ ক্যাম্পে মহাসমাবেশ করে রোহিঙ্গারা। প্রশাসনের কোনো অনুমতি না নিয়ে কিছু রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে আরআরসি, ভয়েস অব রোহিঙ্গা, আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউমিনিটি রাইটস (এআরএসপিএইচ) এবং এনজিও সংস্থা ‘এডিআরএ’ ও ‘আল মারকাজুল ইসলামী সংস্থা’ নামে দুটি এনজিও রোহিঙ্গা সমাবেশে টি-শার্ট ও ব্যানার সরবরাহ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয় এতে আরো জড়িত ছিল, রোহিঙ্গা সংগঠন ‘এআরএসপিএইচ’র উপদেষ্টা পরিষদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীসহ কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতের একজন পিপি, দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক এবং ক্যাম্পে কর্মরত এক এএসআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের সমাবেশের আগে ‘এডিআরএ’ নামক একটি এনজিও সংস্থা গত ১৯ ও ২১ আগস্ট কক্সবাজার কলাতলিস্থ শালিক রেস্তোরাঁয় বৈঠক করে। বৈঠকে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে আড়াই লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘আল মারকাজুল ইসলামী সংস্থা’ সমাবেশে রোহিঙ্গাদের জন্য টি-শার্ট তৈরিতে সহযোগিতা করে। পরে ২৫ আগস্ট কুতুপালংয়ের মধুরছড়া এক্সটেনশন-৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশ হয়।
এতে আরো বলা হয়, এ ছাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফুটবল খেলার মাঠ মাঠে ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের পক্ষে সমাবেশ ও র্যালি করা হয়। সমাবেশ সফল করতে ডি-৫ ব্লকে ‘রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটি’ (আরআরসি) সংগঠনের চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে চাঁদা সরবরাহ করা হয়। সংগঠনের সেক্রেটারি সাইফুল হকের প্রবাসী নিকটাত্মীয় ও স্বজন থেকেও চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। বিশেষ করে লন্ডনের নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাদের প্রায় ৫/৬ মাস আগে সংগঠনের অফিস নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকা অনুদান নেয়। এই সংগঠনের মূল কমিটি ২৫ জনের। সমাবেশের টি-শার্ট তৈরি করতে ক্যাম্পে কর্মরত পুলিশের এএসআই’ বোরহান উদ্দিনের মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে যাদের চিহ্নিত করেছে তারা হলেন, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউমিনিটি রাইটস’র (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মুহিববুল্লাহ, সহসভাপতি মাস্টার আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক ও উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইঁয়া, সংগঠনটির উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দুলাল মল্লিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ফরিদুল আলম ও মৌলনা ইউসুফ, কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজারের দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি মো. আব্দুর রহিম ও ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশের এএসআই বোরহান উদ্দিন।
প্রতিবেদন মতে, রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে গঠিত ‘ভয়েস অব রোহিঙ্গা’ এবং রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটির (আরআরসি) পক্ষ থেকে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে বলা হয়, ভয়েস অব রোহিঙ্গা ৭০০ সাদা হাফ টি-শার্ট ও ২৮টি ব্যানার উখিয়া উপজেলার মসজিদ মার্কেটের নিশাত প্রিন্টার্স ও মিডিয়া প্রিন্টার্স থেকে ছাপানো হয়। রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিউনিটি (আআরসি) সংগঠনের ১০০ হাফ টি-শার্ট ছাপানো হয়েছে কক্সবাজার বাজারঘাটা শাহ মজিদিয়া প্রিন্টার্স থেকে।
তবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কিছু সংগঠন কাজ করলেও মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউমিনিটি রাইটস (এআরএসপিএইচ)’ সংগঠনটি বেশ শক্তিশালী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মুহিবুল্লাহর সংগঠনের ৩০০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন, উখিয়া সিকদার পাড়া এলাকার আব্দুল করিম ভূঁইয়ার ছেলে উখিয়া কলেজের প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূঁইয়া। ২৫ আগস্ট তিনি উপজেলার মানবাধিকার সংগঠন ‘পিসওয়ে হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে মাসুদের পূর্বপুরুষ মিয়ানমারের নাগরিক বলেও উল্লেখ করা হয়। এ সংগঠনের ৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। যারা কক্সবাজারের স্থায়ী বাসিন্দা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার’র একটি মিটিং হয়। এরপর তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন সোমবার জানিয়েছেন, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহাসমাবেশের ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই সমাবেশের পেছনে রহস্য জানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন এনজিও ব্যুরোর কাছে পাঠানো হয়েছে।