রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন-রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:৪৮
চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানান, গত বছরের ধারাবাহিক আলোচনার ফলে চীন বা রাশিয়া এখন অনেকটাই বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এ কে আবদুল মোমেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বার্তা ও টেলিভিশন প্যাকেজ অনুষ্ঠান প্রযোজনা সংস্থা হোম মিডিয়া অ্যান্ড ল্যান্ডমার্ক পাবলিকেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন হাউজ লিমিটেড (এলটিভি)।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ওপর মিয়ানমার নির্ভরশীল সেই চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে, অবশ্যই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন প্রয়োজন।’
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন অবশ্যই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যদি বিলম্বিত হয় কিংবা অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তাহলে শুধু বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের ক্ষতি হবে না, এ অঞ্চলে যারা বিনিয়োগ করেছেন তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে অবশ্যই ফিরে যাবে এবং গেলে সবাই একসঙ্গেই যাবে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যা যা করা দরকার আমরা তাই করছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা বিশ্ব এখন বাংলাদেশের প্রশংসা করে। তাই বাংলাদেশের সবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:৪৮

চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানান, গত বছরের ধারাবাহিক আলোচনার ফলে চীন বা রাশিয়া এখন অনেকটাই বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এ কে আবদুল মোমেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বার্তা ও টেলিভিশন প্যাকেজ অনুষ্ঠান প্রযোজনা সংস্থা হোম মিডিয়া অ্যান্ড ল্যান্ডমার্ক পাবলিকেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন হাউজ লিমিটেড (এলটিভি)।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ওপর মিয়ানমার নির্ভরশীল সেই চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে, অবশ্যই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন প্রয়োজন।’
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন অবশ্যই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যদি বিলম্বিত হয় কিংবা অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তাহলে শুধু বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের ক্ষতি হবে না, এ অঞ্চলে যারা বিনিয়োগ করেছেন তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে অবশ্যই ফিরে যাবে এবং গেলে সবাই একসঙ্গেই যাবে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যা যা করা দরকার আমরা তাই করছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা বিশ্ব এখন বাংলাদেশের প্রশংসা করে। তাই বাংলাদেশের সবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ।