আমাদের কাছে গডফাদার, রাঘব বোয়াল বলে কিছু নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৭:৩০
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘গডফাদার বা রাঘব বোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নেই’।
তিনি বলেন, আমরা অপরাধী চিনি। অপরাধী যে হোক, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
মাদক ও ক্যাসিনোসহ অপকর্মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপকর্মের ধরণটির পেছনে অনেকে রাঘব বোয়াল আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, আমরা বলছি যে-ই অপকর্ম করছে তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, এখানে চুনোপুঁটি বা রাঘব বোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নাই। রাঘব বোয়ালও যদি অপরাধ করে থাকে আমরা তাকেও ধরছি। আমাদের সংসদ সদস্যরাও বাদ যাচ্ছেন না, নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও সেই আইনের আওতায় চলে আসছেন। কাজেই রাঘব বোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নেই।
তিনি বলেন, অপরাধ যে-ই করবে আইনের চোখে সে অপরাধী, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। গড ফাদার-গ্র্যান্ড ফাদার- এগুলো আমাদের কাছে কিছু নেই। আমরা চিনি অপরাধী। অপরাধী যে-ই হোক তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
অনেকেই পালানোর চেষ্টা করছে, তাদের ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেন আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করব? এমন তো কিছু হয়নি যে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে। বিমানবন্দর দিয়ে অপরাধীরা কখনই যেতে পারে না, আমাদের একটা তালিকা সেখানে থাকে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা সব সময়ই থাকে এবং সব সময়ই আছে।
এ মুহূর্তে কোনো বিশেষ সতর্কতা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তকে কেন্দ্র করে কোনো বিশেষ সতর্কতা নেই।
ক্যাসিনো মেশিন কীভাবে এলো- এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, ক্যাসিনো এখানে খেলছে কেন, সেটার জন্য অভিযান চলছে। কীভাবে, কী ডিক্লারেশন দিয়ে নিয়ে এসেছে এগুলো আমরা এখন দেখবো, তদন্তকারীরা দেখবে।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে অস্থিরতা নেমে আসবে- এ নিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ ব্যবসা ছাড়া কোনো বৈধগুলোতে অভিযান চলছে না। ক্যাসিনো-জুয়া খেলা অবৈধ খেলা; বৈধ খেলায় কেউ হানা দিবে না, আমার জানামতে দিচ্ছেও না।
সরকারের জনপ্রিয়তার চেষ্টায় অভিযান পরিচালনা হচ্ছে বলে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কী মনে হয় যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কোনো ঘাটতি ঘটেছে? আমি তো দেখি পাড়ায়-মহল্লায় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও মানুষ বিশ্বাস করেন- প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই কেবল পারবেন আমরা যে হৃদয়ের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেই জায়গায় পৌঁছে দিতে।
প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কোনো ঘাটতি নেই দাবি করে তিনি বলেন, উনি জনপ্রিয়তার জন্য নয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হলে আমরা মনে করি এ সমস্ত অবৈধ ব্যবসা বা কিংবা যারা অবৈধভাবে অন্যায় কিছু করতে চায় সেগুলোকে আমাদের দমন করতে হবে, সেজন্যই আমাদের এ প্রচেষ্টা চলছে।
অবৈধ ব্যবসা-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এতদিন পরে কেন অভিযান- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যখনই আমাদের নজরে আসছে তখনই আমরা ধরছি। দু’একদিনের মধ্যে হয়তো একজন-দু’জন উল্লেখযোগ্য আপনাদের চেখের সম্মুখে আসছে। এর আগে কিন্তু যাদের নামই এসেছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৭:৩০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘গডফাদার বা রাঘব বোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নেই’। তিনি বলেন, আমরা অপরাধী চিনি। অপরাধী যে হোক, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
মাদক ও ক্যাসিনোসহ অপকর্মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপকর্মের ধরণটির পেছনে অনেকে রাঘব বোয়াল আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, আমরা বলছি যে-ই অপকর্ম করছে তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, এখানে চুনোপুঁটি বা রাঘব বোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নাই। রাঘব বোয়ালও যদি অপরাধ করে থাকে আমরা তাকেও ধরছি। আমাদের সংসদ সদস্যরাও বাদ যাচ্ছেন না, নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও সেই আইনের আওতায় চলে আসছেন। কাজেই রাঘব বোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নেই।
তিনি বলেন, অপরাধ যে-ই করবে আইনের চোখে সে অপরাধী, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। গড ফাদার-গ্র্যান্ড ফাদার- এগুলো আমাদের কাছে কিছু নেই। আমরা চিনি অপরাধী। অপরাধী যে-ই হোক তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
অনেকেই পালানোর চেষ্টা করছে, তাদের ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেন আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করব? এমন তো কিছু হয়নি যে রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে। বিমানবন্দর দিয়ে অপরাধীরা কখনই যেতে পারে না, আমাদের একটা তালিকা সেখানে থাকে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা সব সময়ই থাকে এবং সব সময়ই আছে।
এ মুহূর্তে কোনো বিশেষ সতর্কতা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তকে কেন্দ্র করে কোনো বিশেষ সতর্কতা নেই।
ক্যাসিনো মেশিন কীভাবে এলো- এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, ক্যাসিনো এখানে খেলছে কেন, সেটার জন্য অভিযান চলছে। কীভাবে, কী ডিক্লারেশন দিয়ে নিয়ে এসেছে এগুলো আমরা এখন দেখবো, তদন্তকারীরা দেখবে।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে অস্থিরতা নেমে আসবে- এ নিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ ব্যবসা ছাড়া কোনো বৈধগুলোতে অভিযান চলছে না। ক্যাসিনো-জুয়া খেলা অবৈধ খেলা; বৈধ খেলায় কেউ হানা দিবে না, আমার জানামতে দিচ্ছেও না।
সরকারের জনপ্রিয়তার চেষ্টায় অভিযান পরিচালনা হচ্ছে বলে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কী মনে হয় যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কোনো ঘাটতি ঘটেছে? আমি তো দেখি পাড়ায়-মহল্লায় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও মানুষ বিশ্বাস করেন- প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই কেবল পারবেন আমরা যে হৃদয়ের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেই জায়গায় পৌঁছে দিতে।
প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কোনো ঘাটতি নেই দাবি করে তিনি বলেন, উনি জনপ্রিয়তার জন্য নয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হলে আমরা মনে করি এ সমস্ত অবৈধ ব্যবসা বা কিংবা যারা অবৈধভাবে অন্যায় কিছু করতে চায় সেগুলোকে আমাদের দমন করতে হবে, সেজন্যই আমাদের এ প্রচেষ্টা চলছে।
অবৈধ ব্যবসা-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এতদিন পরে কেন অভিযান- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যখনই আমাদের নজরে আসছে তখনই আমরা ধরছি। দু’একদিনের মধ্যে হয়তো একজন-দু’জন উল্লেখযোগ্য আপনাদের চেখের সম্মুখে আসছে। এর আগে কিন্তু যাদের নামই এসেছে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।