বিএনপিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি না শেখাতে অনুরোধ আইনমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:৪৯
দুর্নীতির জিরো টলারেন্স কী, তা না শেখানোর জন্য বিএনপিকে অনুরোধ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি আইন এক কালো অধ্যায়, ভুলিনি এবং ভুলব না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।
বিএনপির উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিএনপির লোকেরা ক্যাসিনো বিষয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। শেখ হাসিনার সাহস আছে অন্যায়কারীদের ধরার, সে যে দলেরই হোক। বিএনপি যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তাদের বাদ দেওয়ার সাহস করতে পারে না। যারা দুর্নীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে একমাত্র শেখ হাসিনাই অ্যাকশন নিতে পারেন। তিনিই পারেন বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে।’
বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই দুর্নীতিতে ডzবে আছেন এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দলের আরেকজন যিনি দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলাতক, তাকে দুটো গালিও দিতে পারে না বিএনপি। শুধু বড় বড় কথা বলতে পারেন আপনারা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আমাদের শেখাবেন না। আমরা আপনাদের দুর্নীতির বিচার করেছি বলেই আপনাদের এত মাথাব্যথা।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান করাচিতে শিক্ষিত ও খুনি খন্দকার মোশতাক পাকিস্তানের মোহে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হোক। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হলে জনগণ বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাবে ও আমরা পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি চলে যাব। কনফেডারেশন না হোক, অন্তত সেকেন্ড পাকিস্তান হবে বাংলাদেশ– এটাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা।
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে।’
আলোচনা সভার শুরুতেই ইনডেমনিটি আইন বিষয়ে একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উক্তি পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা। এর আগে, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের (মূল কমিটি) সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন অভিনেতা আজিজুল হাকিম, কেরামত মওলা, মান্নান হীরা, চারুশিল্পী মনিরুজ্জামান, চিত্রনায়ক রিয়াজ প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:৪৯

দুর্নীতির জিরো টলারেন্স কী, তা না শেখানোর জন্য বিএনপিকে অনুরোধ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি আইন এক কালো অধ্যায়, ভুলিনি এবং ভুলব না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।
বিএনপির উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিএনপির লোকেরা ক্যাসিনো বিষয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। শেখ হাসিনার সাহস আছে অন্যায়কারীদের ধরার, সে যে দলেরই হোক। বিএনপি যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তাদের বাদ দেওয়ার সাহস করতে পারে না। যারা দুর্নীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে একমাত্র শেখ হাসিনাই অ্যাকশন নিতে পারেন। তিনিই পারেন বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে।’
বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই দুর্নীতিতে ডzবে আছেন এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দলের আরেকজন যিনি দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলাতক, তাকে দুটো গালিও দিতে পারে না বিএনপি। শুধু বড় বড় কথা বলতে পারেন আপনারা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আমাদের শেখাবেন না। আমরা আপনাদের দুর্নীতির বিচার করেছি বলেই আপনাদের এত মাথাব্যথা।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান করাচিতে শিক্ষিত ও খুনি খন্দকার মোশতাক পাকিস্তানের মোহে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হোক। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হলে জনগণ বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাবে ও আমরা পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি চলে যাব। কনফেডারেশন না হোক, অন্তত সেকেন্ড পাকিস্তান হবে বাংলাদেশ– এটাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা।
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে।’
আলোচনা সভার শুরুতেই ইনডেমনিটি আইন বিষয়ে একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উক্তি পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা। এর আগে, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের (মূল কমিটি) সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন অভিনেতা আজিজুল হাকিম, কেরামত মওলা, মান্নান হীরা, চারুশিল্পী মনিরুজ্জামান, চিত্রনায়ক রিয়াজ প্রমুখ।