কাঠামোগত ব্যর্থতায় পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ আর্থিক সেবা বঞ্চিত: ড. ইউনূস
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২১:১৬
পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক আর্থিক সেবা থেকে বঞ্চিত থাকার কারণ কোনো বাজার ব্যর্থতা নয়, এটা পরিষ্কারভাবে অর্থনীতির কাঠামোগত ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করে নোবেল জয়ী ড. ইউনূস বলেছেন, বিদ্যমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়নি। এই ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ করে সামাজিক ব্যবসার নীতির ভিত্তিতে দরিদ্রদের জন্য আলাদা ব্যাংক সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচারের ওপর গঠিত আর্থিক খাত কমিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এ কথা বলেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার জাতিসংঘে ওই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, লিচটেনস্টেইন সরকারের উদ্যোগে এবং লিচটেনস্টেইন, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস সরকার এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এর সহযোগে গত বছর জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই কমিশন গঠিত হয়।
আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচার অবসানের লক্ষ্যে আর্থিক খাতকে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গঠিত হয় কমিশনটি। প্রতিষ্ঠানটি ৮০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদের ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত আছে।
কমিশনের অন্যতম সহ-আহ্বায়ক প্রফেসর ইউনূস বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কাছে পৌঁছাতে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি গড়ে তুললেও ক্ষুদ্রঋণ এখনো আর্থিক খাতে একটি পাদটীকা হয়ে রয়েছে। মূলধনের অভাবে গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভেতরকার সহজাত উদ্যোক্তা শক্তি উন্মোচিত হতে পারে না। এতে তারা সহজেই মানব পাচার ও বঞ্চনার শিকার হয়ে পড়ে। এই প্রতিবেদনে শোষণমুক্ত, উপযুক্ত ও নিরাপদ অর্থায়ন আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচার থেকে দরিদ্র মানুষকে অনেকটাই দুরে রাখতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ে এর চেয়ারপারসন মিস ফিয়োনা রেনল্ড্স ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিশনের আহ্বায়ক, সহ-আহ্বায়ক ও কমিশনারগণ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২১:১৬

পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক আর্থিক সেবা থেকে বঞ্চিত থাকার কারণ কোনো বাজার ব্যর্থতা নয়, এটা পরিষ্কারভাবে অর্থনীতির কাঠামোগত ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করে নোবেল জয়ী ড. ইউনূস বলেছেন, বিদ্যমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষদের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়নি। এই ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ করে সামাজিক ব্যবসার নীতির ভিত্তিতে দরিদ্রদের জন্য আলাদা ব্যাংক সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচারের ওপর গঠিত আর্থিক খাত কমিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এ কথা বলেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার জাতিসংঘে ওই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, লিচটেনস্টেইন সরকারের উদ্যোগে এবং লিচটেনস্টেইন, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস সরকার এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এর সহযোগে গত বছর জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই কমিশন গঠিত হয়।
আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচার অবসানের লক্ষ্যে আর্থিক খাতকে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গঠিত হয় কমিশনটি। প্রতিষ্ঠানটি ৮০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদের ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত আছে।
কমিশনের অন্যতম সহ-আহ্বায়ক প্রফেসর ইউনূস বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কাছে পৌঁছাতে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি গড়ে তুললেও ক্ষুদ্রঋণ এখনো আর্থিক খাতে একটি পাদটীকা হয়ে রয়েছে। মূলধনের অভাবে গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভেতরকার সহজাত উদ্যোক্তা শক্তি উন্মোচিত হতে পারে না। এতে তারা সহজেই মানব পাচার ও বঞ্চনার শিকার হয়ে পড়ে। এই প্রতিবেদনে শোষণমুক্ত, উপযুক্ত ও নিরাপদ অর্থায়ন আধুনিক দাসত্ব ও মানব পাচার থেকে দরিদ্র মানুষকে অনেকটাই দুরে রাখতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ে এর চেয়ারপারসন মিস ফিয়োনা রেনল্ড্স ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিশনের আহ্বায়ক, সহ-আহ্বায়ক ও কমিশনারগণ।