সম্রাট ঢাকা ও আরমান কুমিল্লা কারাগারে
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) ও কুমিল্লা প্রতিনিধি | ৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০২:১১
যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকা ও এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত সম্রাটকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার রাত ৮ টা ২০ মিনিটে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল আলম জানান।
এর আগে সম্রাটের কার্যালয় থেকে ১১০০ পিস ইয়াবা, ১৫ বোতল বিদেশি মদ, দুইটি ইলেকট্রিক টর্চার মেশিন, চাইনিজ পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ের ভূইয়া ম্যানশনে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢোকেন র্যাব সদস্যরা। এখানেই নিয়মিত বসতেন সম্রাট।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে রবিবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে আটক করে র্যাব।
অপরদিকে সম্রাটের সহযোগী যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগার পাঠানো হয়।কুমিল্লা কারাগারের ডেপুটি জেলার বিলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ১৪০ টি ইয়াবা বড়ি রাখার দায়ে আরমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব ৭ এর এসআই সজীব মিয়া। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণেও ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) ও কুমিল্লা প্রতিনিধি | ৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০২:১১

যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকা ও এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত সম্রাটকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার রাত ৮ টা ২০ মিনিটে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল আলম জানান।
এর আগে সম্রাটের কার্যালয় থেকে ১১০০ পিস ইয়াবা, ১৫ বোতল বিদেশি মদ, দুইটি ইলেকট্রিক টর্চার মেশিন, চাইনিজ পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ের ভূইয়া ম্যানশনে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢোকেন র্যাব সদস্যরা। এখানেই নিয়মিত বসতেন সম্রাট।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে রবিবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে আটক করে র্যাব।
অপরদিকে সম্রাটের সহযোগী যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগার পাঠানো হয়।কুমিল্লা কারাগারের ডেপুটি জেলার বিলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ১৪০ টি ইয়াবা বড়ি রাখার দায়ে আরমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব ৭ এর এসআই সজীব মিয়া। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণেও ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।