আবরার হত্যায় কূটনীতিকদের
বিবৃতি ‘অহেতুক’ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:২৩
ফাইল ফটো
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় কূটনীতিকদের দেওয়া বিবৃতিকে ‘অহেতুক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, এটা শিষ্টাচার লঙ্ঘন। অহেতুক এটা করেছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলের বাচ্চাদের মেরে ফেলল। তাও কেউ বিবৃতি দেয় না। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডেও ৫১ জনকে হত্যা করা হলো। এর মানে এই নয় যে, দেশটির সরকারের ঘাটতি ছিল; নিউজিল্যান্ডে সুশাসন ছিল না বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ছিল না। ওই ঘটনায় আমরা (বাংলাদেশ) দুঃখ প্রকাশ করেছি। অথচ এখানে (বাংলাদেশে) একটু কিছু হলেই বিবৃতি দেওয়া হয়। এখানে আমাদের দায়ী করার প্রবণতা আছে। আমি মনে করি এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়ই ঘটে। গতকালও (১৪ অক্টোবর) নিউ ইয়র্কে একটি রেস্টুরেন্টে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, আটজন আহতও হন। কয়েক দিন আগে টেক্সাসে অনেকেই নিহত হয়েছেন। নিউ ইয়র্কে তো পলাতক ওই ব্যক্তিকে ধরতেই পারল না। কাউকেই ধরতে পারেনি। জাতিসংঘ এটা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয় না। স্কুলের বাচ্চাদের মেরে ফেলল। তাও কেউ বিবৃতি দেয় না। বাংলাদেশে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, সরকার সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে– তা স্বীকার করতেই হবে। প্রথম দিনই সরকার বলেছে, এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তারপরও এসব কীসের জন্য?’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:২৩

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় কূটনীতিকদের দেওয়া বিবৃতিকে ‘অহেতুক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, এটা শিষ্টাচার লঙ্ঘন। অহেতুক এটা করেছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলের বাচ্চাদের মেরে ফেলল। তাও কেউ বিবৃতি দেয় না। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডেও ৫১ জনকে হত্যা করা হলো। এর মানে এই নয় যে, দেশটির সরকারের ঘাটতি ছিল; নিউজিল্যান্ডে সুশাসন ছিল না বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ছিল না। ওই ঘটনায় আমরা (বাংলাদেশ) দুঃখ প্রকাশ করেছি। অথচ এখানে (বাংলাদেশে) একটু কিছু হলেই বিবৃতি দেওয়া হয়। এখানে আমাদের দায়ী করার প্রবণতা আছে। আমি মনে করি এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়ই ঘটে। গতকালও (১৪ অক্টোবর) নিউ ইয়র্কে একটি রেস্টুরেন্টে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, আটজন আহতও হন। কয়েক দিন আগে টেক্সাসে অনেকেই নিহত হয়েছেন। নিউ ইয়র্কে তো পলাতক ওই ব্যক্তিকে ধরতেই পারল না। কাউকেই ধরতে পারেনি। জাতিসংঘ এটা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয় না। স্কুলের বাচ্চাদের মেরে ফেলল। তাও কেউ বিবৃতি দেয় না। বাংলাদেশে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, সরকার সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে– তা স্বীকার করতেই হবে। প্রথম দিনই সরকার বলেছে, এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তারপরও এসব কীসের জন্য?’