বৃষ্টির সম্ভাবনা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:২২
শেষবারের মতো বৃষ্টি ঝরিয়ে দেশের ওপর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অর্থাৎ বর্ষা বিদায় নিয়েছে। এরপর থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোথাও তেমন একটা বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তারপরই তাপমাত্রা কমবে আরো।
তবে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে দিনের বেলায়।
বহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাপমাত্রা আর তেমন বাড়বে না। ধীরে ধীরে কমবে। শনি বা রোববার বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা বিভাগে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান শুক্রবার রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তাপমাত্রা এখন আর তেমন বাড়বে না। আস্তে আস্তে কমবে। আর বর্ষা বিদায় নিলেও এখন চলছে পোস্ট মনসুন (বর্ষা পরবর্তী মৌসুম)। দুদিন পর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
গত কয়েক দিন সূর্যের তেজ কম হলেও দিনের বেলা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এ সময়ে বায়ু শুষ্ক হওয়ায় এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অল্প তাপমাত্রাতেই অস্বস্তি লাগে। এ অবস্থার পরিবর্তন হয়ে তাপমাত্রা অনেকটা সহনীয় হবে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির শঙ্কা নেই। অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে চলতি মাসে সাগরে ১-২টি নিম্নচাপের পাশাপাশি একটি ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে সাগরে কোনো নিম্নচাপ নেই।
শুক্রবার সারা দেশে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতেও তাপমাত্রা বেড়েছে। বৃহস্পতিবারের ৩৪ ডিগ্রি থেকে বেড়ে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা এর চেয়ে আর বাড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:২২

শেষবারের মতো বৃষ্টি ঝরিয়ে দেশের ওপর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অর্থাৎ বর্ষা বিদায় নিয়েছে। এরপর থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোথাও তেমন একটা বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তারপরই তাপমাত্রা কমবে আরো।
তবে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে দিনের বেলায়।
বহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাপমাত্রা আর তেমন বাড়বে না। ধীরে ধীরে কমবে। শনি বা রোববার বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে খুলনা বিভাগে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান শুক্রবার রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তাপমাত্রা এখন আর তেমন বাড়বে না। আস্তে আস্তে কমবে। আর বর্ষা বিদায় নিলেও এখন চলছে পোস্ট মনসুন (বর্ষা পরবর্তী মৌসুম)। দুদিন পর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
গত কয়েক দিন সূর্যের তেজ কম হলেও দিনের বেলা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এ সময়ে বায়ু শুষ্ক হওয়ায় এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অল্প তাপমাত্রাতেই অস্বস্তি লাগে। এ অবস্থার পরিবর্তন হয়ে তাপমাত্রা অনেকটা সহনীয় হবে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির শঙ্কা নেই। অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে চলতি মাসে সাগরে ১-২টি নিম্নচাপের পাশাপাশি একটি ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে সাগরে কোনো নিম্নচাপ নেই।
শুক্রবার সারা দেশে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতেও তাপমাত্রা বেড়েছে। বৃহস্পতিবারের ৩৪ ডিগ্রি থেকে বেড়ে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা এর চেয়ে আর বাড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।