ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতির মাঠে বিগত যৌবনা: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০৪
ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতির মাঠে বিগত যৌবনা বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, এখন তাদের ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। রাজনীতিতে যেই যশ প্রতিপত্তি ছিল সেটা হারিয়ে গেছে। তারা এখন যে কথা গুলো বলছেন, সেগুলো মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে, তারা মাঠে নেমেছেন। কিন্তু সভা-সমাবেশে গিয়ে তারা ইস্যু খুঁজে পাচ্ছেন না। সেই জন্য খড় খুঁটো ধরে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তারা কতক্ষণ কোটা আন্দোলন নিয়ে, কখনো নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ঘিরে, কখনো আবরার হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসব চেষ্টার কোনটাই হালে পানি পাচ্ছে না।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হল মাঠে বাংলাদেশ তাঁতী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মাঠে নামায় ঐক্যফ্রন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আপনারা সরকারের সমালোচনা করবেন। আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করি। এই সমালোচনা যাতে আমাদের পথচলাকে শাণিত করে। কিন্তু তারা যে অহেতুক সমালোচনা করে, সেটা রাজনীতি দেশ ও মানুষের জন্য শুভ নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনকে সামনে রেখে আমরা দলকে পরিষ্কার করার কাজে হাত দিয়েছি। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গুলো থেকেও আগাছা-পরগাছাদের দুর করতে হবে। কিছু কিছু আছে শুধু ফেসবুকে রাজনীতি করেন, ছবি একটা তুলবে সেটা পোস্ট দেবে। এদের জন্যও আমরা অতিষ্ঠ। এদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমি তাঁতী লীগকে বলব, আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের দলে অনেক আগাছা-পরগাছা ঢুকেছে। অনেকে নানাভাবে পদ পেয়েছে। তাদের সমস্ত পর্যায় থেকে দুর করতে হবে। বিরোধী দলে থাকার সময় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের যারা নির্যাতন করেছে, তারা যেন কোনভাবেই দলে প্রবেশ করতে না পারে।
চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন মানিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন তাঁতী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্ত। বক্তব্য রাখেন মহানগর তাঁতী লীগের সদস্যসচিব রত্নাঙ্কুর দাশ টুনু, এহছানুল কবির লিটন প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০৪

ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতির মাঠে বিগত যৌবনা বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, এখন তাদের ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। রাজনীতিতে যেই যশ প্রতিপত্তি ছিল সেটা হারিয়ে গেছে। তারা এখন যে কথা গুলো বলছেন, সেগুলো মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে, তারা মাঠে নেমেছেন। কিন্তু সভা-সমাবেশে গিয়ে তারা ইস্যু খুঁজে পাচ্ছেন না। সেই জন্য খড় খুঁটো ধরে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তারা কতক্ষণ কোটা আন্দোলন নিয়ে, কখনো নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ঘিরে, কখনো আবরার হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসব চেষ্টার কোনটাই হালে পানি পাচ্ছে না।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হল মাঠে বাংলাদেশ তাঁতী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মাঠে নামায় ঐক্যফ্রন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আপনারা সরকারের সমালোচনা করবেন। আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করি। এই সমালোচনা যাতে আমাদের পথচলাকে শাণিত করে। কিন্তু তারা যে অহেতুক সমালোচনা করে, সেটা রাজনীতি দেশ ও মানুষের জন্য শুভ নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনকে সামনে রেখে আমরা দলকে পরিষ্কার করার কাজে হাত দিয়েছি। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গুলো থেকেও আগাছা-পরগাছাদের দুর করতে হবে। কিছু কিছু আছে শুধু ফেসবুকে রাজনীতি করেন, ছবি একটা তুলবে সেটা পোস্ট দেবে। এদের জন্যও আমরা অতিষ্ঠ। এদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমি তাঁতী লীগকে বলব, আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের দলে অনেক আগাছা-পরগাছা ঢুকেছে। অনেকে নানাভাবে পদ পেয়েছে। তাদের সমস্ত পর্যায় থেকে দুর করতে হবে। বিরোধী দলে থাকার সময় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের যারা নির্যাতন করেছে, তারা যেন কোনভাবেই দলে প্রবেশ করতে না পারে।
চট্টগ্রাম মহানগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন মানিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন তাঁতী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্ত। বক্তব্য রাখেন মহানগর তাঁতী লীগের সদস্যসচিব রত্নাঙ্কুর দাশ টুনু, এহছানুল কবির লিটন প্রমুখ।