বোরহানউদ্দিনের সহিংস ঘটনায় ১১ বিশিষ্ট ব্যক্তির উদ্বেগ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ ২৩:৩২
ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১১ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা ও পরিকল্পিত গুজবকে পুঁজি করে সারা দেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি ও পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সংগঠিত আয়োজন তাদের শঙ্কিত করেছে বলে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে জানান তারা।
গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
বিবৃতিতে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরি, হাসান ইমাম, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ এবং মফিদুল হক।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবকের হ্যাকড অ্যাকাউন্ট থেকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী সাম্প্রদায়িক উসকানি দিলে ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়! পুলিশ ও প্রশাসন তড়িৎ সফল সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার পরিসরে হঠাৎ একদল ধর্মান্ধ মৌলবাদী ও সুযোগসন্ধানী লোক হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, পল্লি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয় এবং প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে’।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘এতে প্রতীয়মান হয় যে, পুরো ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। শুধু তাই নয়, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামি ঐক্য পরিষদের নামে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক চট্টগ্রামসহ সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দির আক্রমণ করে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে তৎপর। সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় নিকট অতীতের ফেসবুককেন্দ্রিক রামু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠিত বেদনাদায়ক সাম্প্রদায়িক ঘটনা।
‘গত ক’দিনে ধারাবাহিকভাবে উগ্র মৌলবাদী ও বিপথগামী রাজনৈতিক শক্তি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সমাবেশে ‘ঘৃণা বক্তব্য’ প্রদান করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও সম্প্রীতি বিনাশের এক মহা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। চলমান ঘটনায় এ কথা স্পষ্ট যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে দ্রুত ধাবমান এবং শেখ হাসিনা যখন সামাজিক অনাচার ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান দলমতের ঊর্ধ্বে শক্ত হাতে পরিচালনা করছেন এবং জনগণ যখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন, ঠিক তখন পরাজিত রাজনৈতিক দল ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত’।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আরো বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, ষড়যন্ত্র চলছে দেশ, জাতি ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তি ও সরকারের বিরুদ্ধে। যেকোনো অবস্থায় এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে। তাই জনগণকে সচেতন থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
‘আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো মূল্যে দেশ ও সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করবে’।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ ২৩:৩২

ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১১ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা ও পরিকল্পিত গুজবকে পুঁজি করে সারা দেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি ও পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সংগঠিত আয়োজন তাদের শঙ্কিত করেছে বলে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে জানান তারা।
গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
বিবৃতিতে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরি, হাসান ইমাম, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ এবং মফিদুল হক।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবকের হ্যাকড অ্যাকাউন্ট থেকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী সাম্প্রদায়িক উসকানি দিলে ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়! পুলিশ ও প্রশাসন তড়িৎ সফল সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার পরিসরে হঠাৎ একদল ধর্মান্ধ মৌলবাদী ও সুযোগসন্ধানী লোক হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, পল্লি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয় এবং প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে’।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘এতে প্রতীয়মান হয় যে, পুরো ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। শুধু তাই নয়, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামি ঐক্য পরিষদের নামে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক চট্টগ্রামসহ সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দির আক্রমণ করে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে তৎপর। সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় নিকট অতীতের ফেসবুককেন্দ্রিক রামু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠিত বেদনাদায়ক সাম্প্রদায়িক ঘটনা।
‘গত ক’দিনে ধারাবাহিকভাবে উগ্র মৌলবাদী ও বিপথগামী রাজনৈতিক শক্তি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সমাবেশে ‘ঘৃণা বক্তব্য’ প্রদান করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও সম্প্রীতি বিনাশের এক মহা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। চলমান ঘটনায় এ কথা স্পষ্ট যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন অভূতপূর্ব উন্নয়নের পথে দ্রুত ধাবমান এবং শেখ হাসিনা যখন সামাজিক অনাচার ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান দলমতের ঊর্ধ্বে শক্ত হাতে পরিচালনা করছেন এবং জনগণ যখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন, ঠিক তখন পরাজিত রাজনৈতিক দল ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত’।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আরো বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, ষড়যন্ত্র চলছে দেশ, জাতি ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তি ও সরকারের বিরুদ্ধে। যেকোনো অবস্থায় এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে। তাই জনগণকে সচেতন থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
‘আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো মূল্যে দেশ ও সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করবে’।