‘বার্গার বাবুর্চি’ থেকে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ধনী বাংলাদেশের এ তরুণ
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:৫৪
মাত্র ১৭ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান বাংলাদেশের আশিক আহমেদ। সেখানে গিয়ে তিনি বার্গার তৈরি ও বিক্রির কাজে জড়িত হন শুরুতে। ঘণ্টার পারিশ্রমিকে কাজ শুরু করা এই যুবক এখন অস্ট্রেলিয়ার ধনীদের একজন।
নিজে সাধারণ কর্মীর মতো কাজ করলেও খেয়াল রাখতেন সবদিকে। কীভাবে একটি বড় প্রতিষ্ঠান কাজ করে তা শিখেছেন অভিনিবেশ দিয়ে। সেই কাজ আরো সহজ করতে তৈরি করেছেন সফটওয়্যার।
আশিক আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এসবিএস’কে জানান, ‘আমি তখন ঘণ্টার মজুরিতে কাজ করতাম। যে কারণে এ কাজে সাধারণ কর্মী থেকে ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত বিষয়ে আমার ধারণা তৈরি হয়’।
গণিত ও বিজ্ঞানে ছিল তার অপার আগ্রহ। এই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে ২০০৮ সালে তিনি ‘ওয়ার্ক ফোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটান।
এই সফটওয়্যার লাখো কর্মী কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার হয়ে আসছে। নাসা, কোয়ান্টাস’র মতো প্রতিষ্ঠান আশিক আহমেদদের ক্রেতা।
বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী এ বাংলাদেশি যুবক অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ২৫ ধনী তরুণের একজন। অস্ট্রেলিয়া ‘ফিন্যান্সিয়াল রিভিউ ইয়ং রিচ লিস্ট’এ তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন।
তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৪৮ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২৫ কোটি টাকারও বেশি।
এসবিএস’কে আশিক আহমেদ বলেন, ‘আমি মনে করি টাকা কখনো আমার লক্ষ্য ছিল না। বরং কী আমি করছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কখনো টাকার জন্য এসব করিনি এবং এখনো করি না। আমি কী ধনীদের তালিকায় আসলাম বা আসলাম না তা নিয়ে ভাবনা নেই। এ কারণে (ধনী হওয়া) প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার নিয়মে কোনো ব্যতিক্রম ঘটবে না’।
আশিক আহমেদ আরো বলেন, আমার মূল্যায়ন হবে যদি আমার কাজ অন্য মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। আমার মূল ভাবনা অভিবাসী উদ্যোক্তাদের নিয়ে, তাদের প্রতি আমার পরামর্শ অস্ট্রেলিয়া হলো খুব ভালো জায়গা নিজের ভাগ্য খুঁজে নেয়ার এবং তাকে বড় করার, যার মাধ্যমে অন্য মানুষের জীবনকে উপভোগ্য করে তোলা যায়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:৫৪

মাত্র ১৭ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান বাংলাদেশের আশিক আহমেদ। সেখানে গিয়ে তিনি বার্গার তৈরি ও বিক্রির কাজে জড়িত হন শুরুতে। ঘণ্টার পারিশ্রমিকে কাজ শুরু করা এই যুবক এখন অস্ট্রেলিয়ার ধনীদের একজন।
নিজে সাধারণ কর্মীর মতো কাজ করলেও খেয়াল রাখতেন সবদিকে। কীভাবে একটি বড় প্রতিষ্ঠান কাজ করে তা শিখেছেন অভিনিবেশ দিয়ে। সেই কাজ আরো সহজ করতে তৈরি করেছেন সফটওয়্যার।
আশিক আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এসবিএস’কে জানান, ‘আমি তখন ঘণ্টার মজুরিতে কাজ করতাম। যে কারণে এ কাজে সাধারণ কর্মী থেকে ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত বিষয়ে আমার ধারণা তৈরি হয়’।
গণিত ও বিজ্ঞানে ছিল তার অপার আগ্রহ। এই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে ২০০৮ সালে তিনি ‘ওয়ার্ক ফোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটান।
এই সফটওয়্যার লাখো কর্মী কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার হয়ে আসছে। নাসা, কোয়ান্টাস’র মতো প্রতিষ্ঠান আশিক আহমেদদের ক্রেতা।
বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী এ বাংলাদেশি যুবক অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ২৫ ধনী তরুণের একজন। অস্ট্রেলিয়া ‘ফিন্যান্সিয়াল রিভিউ ইয়ং রিচ লিস্ট’এ তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন।
তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৪৮ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২৫ কোটি টাকারও বেশি।
এসবিএস’কে আশিক আহমেদ বলেন, ‘আমি মনে করি টাকা কখনো আমার লক্ষ্য ছিল না। বরং কী আমি করছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কখনো টাকার জন্য এসব করিনি এবং এখনো করি না। আমি কী ধনীদের তালিকায় আসলাম বা আসলাম না তা নিয়ে ভাবনা নেই। এ কারণে (ধনী হওয়া) প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার নিয়মে কোনো ব্যতিক্রম ঘটবে না’।
আশিক আহমেদ আরো বলেন, আমার মূল্যায়ন হবে যদি আমার কাজ অন্য মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। আমার মূল ভাবনা অভিবাসী উদ্যোক্তাদের নিয়ে, তাদের প্রতি আমার পরামর্শ অস্ট্রেলিয়া হলো খুব ভালো জায়গা নিজের ভাগ্য খুঁজে নেয়ার এবং তাকে বড় করার, যার মাধ্যমে অন্য মানুষের জীবনকে উপভোগ্য করে তোলা যায়।