বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:৩১
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফেসবুক কমেন্টের জের ধরে সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনায় ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। এ ঘটনায় জড়িত হ্যাকার হোক আর যেই হোক তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সবাইকে একে একে সকলের সামনে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে, অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে কেউ আমাদের পথ রোধ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিনে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিচারের দাবিতে ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে সেখানে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়। নিহত চারজনকে নিজেদের কর্মী–সমর্থক বলে দাবি করে তৌহিদি জনতা। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পুলিশ বলেছে, এক যুবকের হ্যাক হওয়া আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বক্তব্য ছড়ানোর ঘটনা থেকে এ পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নিরাপত্তা দরকার। আর এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ক্রমেই বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে মাসে ১২ হাজার করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এমন কোনো দাবি নেই, যা প্রধানমন্ত্রী না করেছেন। ভবিষ্যতেও সকল দাবি দাওয়া পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসলেই দেশ এগিয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মনে রাখতে হবে আমাদের ধমনিতে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান তার বক্তব্যে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্ট) নিশ্চিতে রুলস অব বিজনেস সংশোধন করতে হবে এবং জাতির পিতা ঘোষিত চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তিন প্রজন্ম পর্যন্ত প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করণে সংবিধান সংশোধন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রম (অবসরপ্রাপ্ত এসপি), খালেদ মোশারফ বীর উত্তম প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:৩১

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফেসবুক কমেন্টের জের ধরে সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনায় ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। এ ঘটনায় জড়িত হ্যাকার হোক আর যেই হোক তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সবাইকে একে একে সকলের সামনে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে, অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে কেউ আমাদের পথ রোধ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিনে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিচারের দাবিতে ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে সেখানে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়। নিহত চারজনকে নিজেদের কর্মী–সমর্থক বলে দাবি করে তৌহিদি জনতা। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পুলিশ বলেছে, এক যুবকের হ্যাক হওয়া আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বক্তব্য ছড়ানোর ঘটনা থেকে এ পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নিরাপত্তা দরকার। আর এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ক্রমেই বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে মাসে ১২ হাজার করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের এমন কোনো দাবি নেই, যা প্রধানমন্ত্রী না করেছেন। ভবিষ্যতেও সকল দাবি দাওয়া পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসলেই দেশ এগিয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মনে রাখতে হবে আমাদের ধমনিতে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান তার বক্তব্যে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্ট) নিশ্চিতে রুলস অব বিজনেস সংশোধন করতে হবে এবং জাতির পিতা ঘোষিত চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তিন প্রজন্ম পর্যন্ত প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করণে সংবিধান সংশোধন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রম (অবসরপ্রাপ্ত এসপি), খালেদ মোশারফ বীর উত্তম প্রমুখ।