যেখানে দুর্নীতি সেখানেই ব্যবস্থা : গণপূর্তমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:১৫
দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা জিরো টলারেন্স। সেটাকে আমরা ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতি যেখানে, সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্নীতিতে জড়িত কারও পাশে আমি থাকব না। দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি আমার টিমে থাকবেন না।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
আরও বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নায়লা আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. মঈনুল ইসলাম।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘বর্জ্য দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে যেখানে শিল্প হবে সেখানে ইটিপি পদ্ধতিতে, যেখানে আবাসন হবে সেখানে এসটিপি পদ্ধতিতে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে নিঃশেষ করা হবে। তা না হলে আমাদের আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। পূর্বাচলে প্রতিটি বাড়ির জন্য আমরা বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের নির্দেশনা রাখব। সমন্বিত বা ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যবস্থাপনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল করেছে। তবে এই উন্নয়ন হতে হবে টেকসই উন্নয়ন। ঠুনকো বা অস্থায়ী উন্নয়ন দেশকে ভালো কিছু দিতে পারে না। এজন্য আমরা সারা দেশকে মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় নিয়ে আসছি। ব্যক্তিগত জমিতেও অপরিকল্পিত কিছু করতে দেওয়া হবে না।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, আমরা কেউ জানি না কে কখন গ্রেপ্তার হবেন। অনৈতিকতা ও দুর্নীতিতে যিনিই জড়িত থাকবেন, তিনিই গ্রেপ্তার হবেন। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাদের পরিষ্কার কথা, সকলকে নৈতিকতার মানদণ্ড দৃঢ়তার সঙ্গে ধারণ করতে হবে। দুর্নীতিকে শতভাগ না বলতে হবে। না হলে কঠোর অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা মাত্র ১৩ মাসে বিশতলা ভবন নির্মাণ করেছি। এই কৃতিত্ব দেশে কেবল গণপূর্ত অধিদপ্তর দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পূর্বাচল প্রকল্প পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব বিধায় এর জন্য বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা পুরস্কার অর্জন করেছি। দেশের বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়ন আমাদের হাতে হয়েছে। কিন্তু কিছু ঘটনা আমাদের অর্জনকে কলঙ্কিত করে তোলে। এ কারণে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্যও বেড়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের আবাসন প্রকল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। হাউজিং প্রকল্পে শতভাগ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। সকল মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করলে সারা দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে এবং জনগণকে সচেতন হতে হবে। জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণে গণমাধ্যমকে ভূমিকা পালন করতে হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:১৫

দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা জিরো টলারেন্স। সেটাকে আমরা ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতি যেখানে, সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্নীতিতে জড়িত কারও পাশে আমি থাকব না। দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি আমার টিমে থাকবেন না।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
আরও বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নায়লা আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. মঈনুল ইসলাম।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘বর্জ্য দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে যেখানে শিল্প হবে সেখানে ইটিপি পদ্ধতিতে, যেখানে আবাসন হবে সেখানে এসটিপি পদ্ধতিতে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে নিঃশেষ করা হবে। তা না হলে আমাদের আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। পূর্বাচলে প্রতিটি বাড়ির জন্য আমরা বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের নির্দেশনা রাখব। সমন্বিত বা ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যবস্থাপনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল করেছে। তবে এই উন্নয়ন হতে হবে টেকসই উন্নয়ন। ঠুনকো বা অস্থায়ী উন্নয়ন দেশকে ভালো কিছু দিতে পারে না। এজন্য আমরা সারা দেশকে মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় নিয়ে আসছি। ব্যক্তিগত জমিতেও অপরিকল্পিত কিছু করতে দেওয়া হবে না।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, আমরা কেউ জানি না কে কখন গ্রেপ্তার হবেন। অনৈতিকতা ও দুর্নীতিতে যিনিই জড়িত থাকবেন, তিনিই গ্রেপ্তার হবেন। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাদের পরিষ্কার কথা, সকলকে নৈতিকতার মানদণ্ড দৃঢ়তার সঙ্গে ধারণ করতে হবে। দুর্নীতিকে শতভাগ না বলতে হবে। না হলে কঠোর অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা মাত্র ১৩ মাসে বিশতলা ভবন নির্মাণ করেছি। এই কৃতিত্ব দেশে কেবল গণপূর্ত অধিদপ্তর দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পূর্বাচল প্রকল্প পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব বিধায় এর জন্য বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা পুরস্কার অর্জন করেছি। দেশের বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়ন আমাদের হাতে হয়েছে। কিন্তু কিছু ঘটনা আমাদের অর্জনকে কলঙ্কিত করে তোলে। এ কারণে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্যও বেড়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের আবাসন প্রকল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। হাউজিং প্রকল্পে শতভাগ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। সকল মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করলে সারা দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে এবং জনগণকে সচেতন হতে হবে। জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণে গণমাধ্যমকে ভূমিকা পালন করতে হবে।