সুন্দরবনকে ফের অশান্ত করলে কোনো ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৫:৫০
ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সুন্দরবনকে যারা আবার অশান্ত করার জন্য উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সুন্দরবনকে আমরা দস্যুমুক্ত রাখব।
শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দীন স্টেডিয়ামে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপার সম্ভাবনাময় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে দস্যুরা পর্যটকদের জন্য যেমন ভয়ংকর ছিল, তেমনি সুন্দরবনের ওপর নির্ভর হয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের কাছেও ভয়ংকর নাম ছিল। সেই সুন্দরবন আজ দস্যু মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু দস্যুমুক্তই হয়নি, এখন জেলেরা কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই সুন্দরবনে যাচ্ছেন। হাজার হাজার পর্যটকরা সুন্দরবনে নিরাপদে ঘুরতে পারছেন। এই সরকার সুন্দরবনে দস্যু দমনে সফল হয়েছে।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখার প্রত্যয় জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরও বলেন, শান্তিপ্রিয় এই মানুষগুলো কেন এই দস্যুতায় যায়? গ্রামের মোড়ল, গ্রামের যারা নেতৃত্ব দেয়, তাদেরই কয়েকজন এই নিরীহ মানুষদের বাধ্য করে ভয়ংকর ওই পেশায় যাওয়ার জন্য।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি আছে। তাদের চিহ্নিত করে একে একে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যেসব দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন, তাদের মতো উসকানি দাতারাও নিজেরাও যাতে শোধরান। তা না হলে আপনাদের পরিণতিও হবে ভয়াবহ।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামছুল হক টুকু এমপি, সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে অবদান রাখায় সাংবাদিক ও র্যাব কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৫:৫০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সুন্দরবনকে যারা আবার অশান্ত করার জন্য উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, তাদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সুন্দরবনকে আমরা দস্যুমুক্ত রাখব।
শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দীন স্টেডিয়ামে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপার সম্ভাবনাময় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে দস্যুরা পর্যটকদের জন্য যেমন ভয়ংকর ছিল, তেমনি সুন্দরবনের ওপর নির্ভর হয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের কাছেও ভয়ংকর নাম ছিল। সেই সুন্দরবন আজ দস্যু মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু দস্যুমুক্তই হয়নি, এখন জেলেরা কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই সুন্দরবনে যাচ্ছেন। হাজার হাজার পর্যটকরা সুন্দরবনে নিরাপদে ঘুরতে পারছেন। এই সরকার সুন্দরবনে দস্যু দমনে সফল হয়েছে।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখার প্রত্যয় জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরও বলেন, শান্তিপ্রিয় এই মানুষগুলো কেন এই দস্যুতায় যায়? গ্রামের মোড়ল, গ্রামের যারা নেতৃত্ব দেয়, তাদেরই কয়েকজন এই নিরীহ মানুষদের বাধ্য করে ভয়ংকর ওই পেশায় যাওয়ার জন্য।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি আছে। তাদের চিহ্নিত করে একে একে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যেসব দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন, তাদের মতো উসকানি দাতারাও নিজেরাও যাতে শোধরান। তা না হলে আপনাদের পরিণতিও হবে ভয়াবহ।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামছুল হক টুকু এমপি, সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে অবদান রাখায় সাংবাদিক ও র্যাব কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।