শৃঙ্খলা ছাড়া সড়ক উন্নয়ন জনস্বার্থে সুফল বয়ে আনবে না: ওবায়দুল কাদের
ওমর ফারুক, সাভার | ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:০৮
বাংলাদেশের সড়ক ও পরিবহনে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তবে আমি মনে করি এই উন্নয়ন জনগণকে সুফল দিতে পারবে না যদি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে না আসে।
এখন সড়ক এবং পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমাদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই চ্যালেঞ্জ যত কঠিনই হোক তা মোকাবিলা করতে হবে। কারণ আমি মনে করি শৃঙ্খলা ছাড়া উন্নয়ন জনস্বার্থে তেমন কোনো সুফল বয়ে আনবে না।
শুক্রবার বিকেলে সাভারে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় সড়কের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
নিরাপদ সড়ক আইনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই নিরাপদ সড়ক আইনটি সংসদে পাশ করাতে পেরেছি। এই আইনটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পথে অনেক বাঁধা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকায় বিলম্বে হলেও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। এর ফলে দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে আমরাও সন্তুষ্ট।
তিনি আরও বলেন, রাস্তাঘাট ও সড়কে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অবকাঠামোগত উন্নয়ন অতিতে কখনো হয়নি। সড়কের নেটওয়ার্ক এখন সারা বাংলাদেশে এমনকি সুদূর পাহাড়েও বিস্তৃত হয়েছে। অনেক ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তা নতুন করে নির্মিত হয়েছে এবং অনেক রাস্তা চার লেনে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা নির্মিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানজট কমানোর কথা মাথায় রেখেই আমরা রোড সেফটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। বিশ্বব্যাংকও আমাদের এই প্রোগ্রামে অর্থায়ন করতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এসে আমার সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সেমিনার করে গেছে এবং আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ওমর ফারুক, সাভার | ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:০৮

বাংলাদেশের সড়ক ও পরিবহনে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তবে আমি মনে করি এই উন্নয়ন জনগণকে সুফল দিতে পারবে না যদি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে না আসে।
এখন সড়ক এবং পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমাদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই চ্যালেঞ্জ যত কঠিনই হোক তা মোকাবিলা করতে হবে। কারণ আমি মনে করি শৃঙ্খলা ছাড়া উন্নয়ন জনস্বার্থে তেমন কোনো সুফল বয়ে আনবে না।
শুক্রবার বিকেলে সাভারে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় সড়কের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
নিরাপদ সড়ক আইনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই নিরাপদ সড়ক আইনটি সংসদে পাশ করাতে পেরেছি। এই আইনটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পথে অনেক বাঁধা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকায় বিলম্বে হলেও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। এর ফলে দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে আমরাও সন্তুষ্ট।
তিনি আরও বলেন, রাস্তাঘাট ও সড়কে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অবকাঠামোগত উন্নয়ন অতিতে কখনো হয়নি। সড়কের নেটওয়ার্ক এখন সারা বাংলাদেশে এমনকি সুদূর পাহাড়েও বিস্তৃত হয়েছে। অনেক ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তা নতুন করে নির্মিত হয়েছে এবং অনেক রাস্তা চার লেনে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা নির্মিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানজট কমানোর কথা মাথায় রেখেই আমরা রোড সেফটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। বিশ্বব্যাংকও আমাদের এই প্রোগ্রামে অর্থায়ন করতে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এসে আমার সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সেমিনার করে গেছে এবং আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।