পর্যটন আকর্ষণগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে: প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১৯:৫৩
বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত তিনি এমনটা জানান।
তিনি বলেন, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি আমাদের রয়েছে বর্ণিল লোক উৎসব, লালবাগ কেল্লাসহ নানা পুরাকীর্তি। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে চিনে ছিল বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হিসাবে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখনো আমাদের পর্যটন পণ্যগুলোর ব্র্যান্ডিং হয়নি। এখন সময় এসেছে আমাদের পর্যটন খাতের বিকাশের জন্য পর্যটন পণ্যগুলোর ব্র্যান্ডিং করার।
মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব কিছুতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। দেশের এ অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পর্যটন খাতের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।পর্যটনের উন্নয়নে দরকার সবার সমন্বিত উদ্যোগ। পর্যটনের উন্নয়নে আমাদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে এরকম কোনো কাজ সহ্য করা হবে না। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল ,মেট্রোরেল ও পাতালরেল- এর সবই আমাদের নাগরিকদের সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সেবা প্রদান করবে। মেগা প্রজেক্টগুলি বাস্তবায়িত হলে তা পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহী করবে।
তিনি বলেন, পর্যটনের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সিলেটের বিছানাকান্দির পাশে একটি গ্রামকে পর্যটন গ্রামে রূপান্তরিত করা হবে। ওই গ্রামে পর্যটকেরা যাতে দেশীয় নাগরিকদের সঙ্গে একত্রে বাস করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পরিচালক তৌফিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন।
পর্যটনসম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগে ২০০৮ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১৯:৫৩

বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত তিনি এমনটা জানান।
তিনি বলেন, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি আমাদের রয়েছে বর্ণিল লোক উৎসব, লালবাগ কেল্লাসহ নানা পুরাকীর্তি। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে চিনে ছিল বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হিসাবে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখনো আমাদের পর্যটন পণ্যগুলোর ব্র্যান্ডিং হয়নি। এখন সময় এসেছে আমাদের পর্যটন খাতের বিকাশের জন্য পর্যটন পণ্যগুলোর ব্র্যান্ডিং করার।
মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব কিছুতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। দেশের এ অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পর্যটন খাতের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।পর্যটনের উন্নয়নে দরকার সবার সমন্বিত উদ্যোগ। পর্যটনের উন্নয়নে আমাদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে এরকম কোনো কাজ সহ্য করা হবে না। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল ,মেট্রোরেল ও পাতালরেল- এর সবই আমাদের নাগরিকদের সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সেবা প্রদান করবে। মেগা প্রজেক্টগুলি বাস্তবায়িত হলে তা পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহী করবে।
তিনি বলেন, পর্যটনের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সিলেটের বিছানাকান্দির পাশে একটি গ্রামকে পর্যটন গ্রামে রূপান্তরিত করা হবে। ওই গ্রামে পর্যটকেরা যাতে দেশীয় নাগরিকদের সঙ্গে একত্রে বাস করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পরিচালক তৌফিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন।
পর্যটনসম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগে ২০০৮ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।