উপাচার্যদের দুর্নীতি প্রমাণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:০০
ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তাদের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বাসস জানায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতর অভিযোগে সৃষ্ট অশান্ত পরিস্থিতির পটভূমিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা প্রায়শই দুর্নীতির অভিযোগে ভাইস চ্যান্সেলরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে অবশ্যই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। যদি, তারা তা প্রমাণ করতে পারে তবে, উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায়, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম আইনগত ভিত্তি ছাড়া আন্দোলনের নামে ক্লাস বন্ধ, ভিসিদের বাসভবন ও কার্যালয়ে হামলা বরদাশত করা হবে না।’
কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হলে সচরাচর দুর্নীতির অভিযোগ উঠে একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ঠিকভাবে বণ্টন না হলে অভিযোগ উঠতে পারে বলে শোনা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েটের শিক্ষার্থীরা একজন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন করছে। এই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং মামলা দায়েরের পর এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোনো যুক্তি আমি দেখি না।’
প্রধানমন্ত্রী দৈনিক প্রথম আলো আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আয়োজকদের অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজের এক ছাত্রের মৃত্যুর নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারা (প্রথম আলো) কীভাবে এ ধরনের অবহেলা করতে পারে। স্কুল শিক্ষার্থীরা যেখানে ঘোরাফেরা করছে সেখানে, এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে তাদের কোনো দায়িত্বশীলতা ছিল না। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ, এটি সহ্য করা যায় না।’
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এবং ট্রমা সেন্টারের মতো হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রকে মহাখালীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তাদের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বাসস জানায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতর অভিযোগে সৃষ্ট অশান্ত পরিস্থিতির পটভূমিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা প্রায়শই দুর্নীতির অভিযোগে ভাইস চ্যান্সেলরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে অবশ্যই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। যদি, তারা তা প্রমাণ করতে পারে তবে, উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায়, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম আইনগত ভিত্তি ছাড়া আন্দোলনের নামে ক্লাস বন্ধ, ভিসিদের বাসভবন ও কার্যালয়ে হামলা বরদাশত করা হবে না।’
কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হলে সচরাচর দুর্নীতির অভিযোগ উঠে একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ঠিকভাবে বণ্টন না হলে অভিযোগ উঠতে পারে বলে শোনা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েটের শিক্ষার্থীরা একজন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন করছে। এই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং মামলা দায়েরের পর এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোনো যুক্তি আমি দেখি না।’
প্রধানমন্ত্রী দৈনিক প্রথম আলো আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আয়োজকদের অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজের এক ছাত্রের মৃত্যুর নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারা (প্রথম আলো) কীভাবে এ ধরনের অবহেলা করতে পারে। স্কুল শিক্ষার্থীরা যেখানে ঘোরাফেরা করছে সেখানে, এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে তাদের কোনো দায়িত্বশীলতা ছিল না। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ, এটি সহ্য করা যায় না।’
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এবং ট্রমা সেন্টারের মতো হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রকে মহাখালীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন।