সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবন অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’
অনলাইন ডেস্ক | ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০৮:৪৬
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়. ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূলের সুন্দরবন অতিক্রম করতে পারে।
আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভোর থেকে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের (চন্দ্রকলা) প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ও নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল শুক্রবার বিকেল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০৮:৪৬

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়. ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূলের সুন্দরবন অতিক্রম করতে পারে।
আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভোর থেকে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের (চন্দ্রকলা) প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ও নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল শুক্রবার বিকেল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে।