বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার ঘরবাড়ি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ১৫:৩৩
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চার থেকে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিসিয়ালি দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। একজন দাকোপের প্রমিলা এবং আরেকজন পটুয়াখালীর হামিদ কাজি। যদিও সংবাদ মাধ্যমে চারজনের কথা বলা হচ্ছে। ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে এবং চার থেকে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
এনামুর রহমান বলেন, ইতিহাসের সর্বোচ্চসংখ্যক লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে সফল হয়েছি। পাঁচ হাজার ৭৮৭ আশ্রয় কেন্দ্রে ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ জনকে নিরাপত্তা দিতে পেরেছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৪ জেলায় চার নম্বর চাল ও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই এ সহযোগিতা আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খবর রাখার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর সাতক্ষীরা-খুলনা-বাগেরহাট হয়ে এখনও এটি বাংলাদেশ রয়েছে, বিকাল নাগাদ শেষ হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে এনামুর রহমান বলেন, যেকোনো দুর্যোগে স্থায়ী কার্যাদেশ রয়েছে এসওডি অনুযায়ী দুর্যোগ সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা সেই স্থান পরিদর্শন করবে। সেই অনুযায়ী সোমবার পরিদর্শনে যাওয়া হবে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের কাছে থেকে রিপোর্ট আসা শুরু হয়েছে, সেখান থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে যার যার মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পুনর্বাসনের নির্দেশনা দেব।
ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরায় কাঁচা ঘরবাড়ি, খুলনায় গাছপালা, বাগের হাটে কাঁচাঘর ও টিনের ঘর, ভোলার লালমোহনে ৫-৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝালকাঠিতে কিছু ধানের জমি, বরিশালে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। বরগুনায় একটি স্কুলের চাল উড়ে গেছে, পটুয়াখালীতে ৮৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ফেনী, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। খুলনা বিভাগে ক্ষতি হয়েছি। অন্যান্য জেলায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুলবুল পশ্চিম বাংলায় আঘাত করার পর সুন্দরবনে আঘাত করেছে এবং সুন্দরবন আমাদের প্রটেকশন, সেটা ঝড়টাকে আরও দুর্বল করার পর উপকূলের জেলাগুলোতে গেছে। ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার প্রকৃত গতিবেগ নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ আঘাত হানলে ভয়াবহতা আরও বেশি হত। বিপদ সংকেত যা দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল।
তিনি বলেন, সুন্দরবন সবুজ বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে। এটির ওপর অনেক অত্যাচার হয়। এখানে আরো গাছ লাগিয়ে আরও সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ১৫:৩৩

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চার থেকে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অফিসিয়ালি দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। একজন দাকোপের প্রমিলা এবং আরেকজন পটুয়াখালীর হামিদ কাজি। যদিও সংবাদ মাধ্যমে চারজনের কথা বলা হচ্ছে। ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে এবং চার থেকে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
এনামুর রহমান বলেন, ইতিহাসের সর্বোচ্চসংখ্যক লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে সফল হয়েছি। পাঁচ হাজার ৭৮৭ আশ্রয় কেন্দ্রে ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ জনকে নিরাপত্তা দিতে পেরেছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৪ জেলায় চার নম্বর চাল ও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই এ সহযোগিতা আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খবর রাখার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর সাতক্ষীরা-খুলনা-বাগেরহাট হয়ে এখনও এটি বাংলাদেশ রয়েছে, বিকাল নাগাদ শেষ হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে এনামুর রহমান বলেন, যেকোনো দুর্যোগে স্থায়ী কার্যাদেশ রয়েছে এসওডি অনুযায়ী দুর্যোগ সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা সেই স্থান পরিদর্শন করবে। সেই অনুযায়ী সোমবার পরিদর্শনে যাওয়া হবে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের কাছে থেকে রিপোর্ট আসা শুরু হয়েছে, সেখান থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে যার যার মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পুনর্বাসনের নির্দেশনা দেব।
ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরায় কাঁচা ঘরবাড়ি, খুলনায় গাছপালা, বাগের হাটে কাঁচাঘর ও টিনের ঘর, ভোলার লালমোহনে ৫-৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝালকাঠিতে কিছু ধানের জমি, বরিশালে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। বরগুনায় একটি স্কুলের চাল উড়ে গেছে, পটুয়াখালীতে ৮৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ফেনী, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। খুলনা বিভাগে ক্ষতি হয়েছি। অন্যান্য জেলায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুলবুল পশ্চিম বাংলায় আঘাত করার পর সুন্দরবনে আঘাত করেছে এবং সুন্দরবন আমাদের প্রটেকশন, সেটা ঝড়টাকে আরও দুর্বল করার পর উপকূলের জেলাগুলোতে গেছে। ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার প্রকৃত গতিবেগ নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ আঘাত হানলে ভয়াবহতা আরও বেশি হত। বিপদ সংকেত যা দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল।
তিনি বলেন, সুন্দরবন সবুজ বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে। এটির ওপর অনেক অত্যাচার হয়। এখানে আরো গাছ লাগিয়ে আরও সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।