সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তুরিনকে অপসারণ: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:০০
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের পদ থেকে তুরিন আফরোজকে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে তুরিন আফরোজকে অপসারণ বিষয়ে সোমবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এরপর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এমনটা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজন আসামির সঙ্গে যে মামলা নিজে করছিলেন, তার সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। এও বলেছিলেন এ মামলার কোনো সারবর্তা নেই। সেই যে কথোপকথন টেপ করা হয়, টেপ করা কথোপকথনগুলো এবং তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের অভিযোগ আমাদের কাছে পাঠান। এ অভিযোগ নিয়ে সাক্ষীদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং ওনার সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে সেগুলো কিন্তু অল আর ডকুমেন্টরি। সেই জন্য আমরা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অব্যাহতি দিয়েছি।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।
গত বছর এপ্রিলে অভিযোগ ওঠে, মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াহিদুল হককে ফোন করে কথা বলেন তুরিন। পরে পরিচয় গোপন করে ঢাকার একটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখাও করেন।
ওই অভিযোগ ওঠার পর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ওয়াহিদুল ও তুরিনের কথোপকথনের রেকর্ড ও বৈঠকের অডিওরেকর্ডসহ যাবতীয় ‘তথ্য-প্রমাণ’ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তুরিনকে।
আইনমন্ত্রী বলেন, কাজটা যে আমি খুশি হয়ে করেছি, তা না। কিন্তু এটা তাকে অব্যাহতি দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ যে মামলা নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই মামলায় চার্জ গঠন হয়ে গেছে, সেই কারণে আমার মনে হয় এই ব্যাপারটি একটি নিস্পত্তি টানা দরকার ছিল, সেজন্য এটা করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে তার সেন্স অব জাজমেন্ট কেন কাজ করেনি, আমি জানি না, তার দিক থেকে এসব বক্তব্য যেটা ধারণ করা হয়েছে, যেটা তার গলা বলে প্রমাণিত হয়েছে, এটা উনি কেন করলেন, আমরা বুঝতে পারছি না। এটা দুঃখজনক।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:০০

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের পদ থেকে তুরিন আফরোজকে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে তুরিন আফরোজকে অপসারণ বিষয়ে সোমবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এরপর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এমনটা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজন আসামির সঙ্গে যে মামলা নিজে করছিলেন, তার সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। এও বলেছিলেন এ মামলার কোনো সারবর্তা নেই। সেই যে কথোপকথন টেপ করা হয়, টেপ করা কথোপকথনগুলো এবং তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের অভিযোগ আমাদের কাছে পাঠান। এ অভিযোগ নিয়ে সাক্ষীদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং ওনার সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে সেগুলো কিন্তু অল আর ডকুমেন্টরি। সেই জন্য আমরা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অব্যাহতি দিয়েছি।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।
গত বছর এপ্রিলে অভিযোগ ওঠে, মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াহিদুল হককে ফোন করে কথা বলেন তুরিন। পরে পরিচয় গোপন করে ঢাকার একটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখাও করেন।
ওই অভিযোগ ওঠার পর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ওয়াহিদুল ও তুরিনের কথোপকথনের রেকর্ড ও বৈঠকের অডিওরেকর্ডসহ যাবতীয় ‘তথ্য-প্রমাণ’ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তুরিনকে।
আইনমন্ত্রী বলেন, কাজটা যে আমি খুশি হয়ে করেছি, তা না। কিন্তু এটা তাকে অব্যাহতি দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ যে মামলা নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই মামলায় চার্জ গঠন হয়ে গেছে, সেই কারণে আমার মনে হয় এই ব্যাপারটি একটি নিস্পত্তি টানা দরকার ছিল, সেজন্য এটা করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, এ ব্যাপারে তার সেন্স অব জাজমেন্ট কেন কাজ করেনি, আমি জানি না, তার দিক থেকে এসব বক্তব্য যেটা ধারণ করা হয়েছে, যেটা তার গলা বলে প্রমাণিত হয়েছে, এটা উনি কেন করলেন, আমরা বুঝতে পারছি না। এটা দুঃখজনক।