রাঙ্গার ‘ধৃষ্টতামূলক’ বক্তব্যের জন্য সংসদে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি
অনলাইন ডেস্ক | ১২ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:২১
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ নুর হোসেন সম্পর্কে কটূক্তি করায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে সরকারি দলের সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী বিষয়টির সূত্রপাত করলে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান। খবর বাসসের।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, এরশাদ বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সে সময় শুধু নুর হোসেন নয় সেলিম, দেলোয়ারসহ অসংখ্য নেতা কর্মীকে তৎকালীন এরশাদ সরকার হত্যা করেছিল। আর বুকে পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে আন্দোলনে শামিল হওয়া নুর হোসেনকেও সে সময়কার সরকার নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং ‘৯০ সালে গণ-অভুত্থানে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ নুর হোসেন সম্পর্কে রাঙ্গার বক্তব্যকে ধৃষ্টতামূলক বলে উল্লেখ করে এ জন্য তাকে সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান আমির হোসেন আমু।
সরকারি দলের অপর সিনিয়র সংসদ সদস্য তোফায়েল আাহমেদ বলেন, যেখানে জনাব রাঙ্গার নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শহীদ নুর হোসেনের বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, সেখানে রাঙ্গা এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার ধৃষ্টতা কিভাবে দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ রাঙ্গাকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, নুর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন। তার এ আত্মত্যাগের ফলে পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। আর গণতন্ত্র মুক্তি পায়। রাঙ্গা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও নুর হোসেন সম্পর্কে যে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তার জন্য তাকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। শুধু তা নয়, এ জন্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও ব্যাখ্যা দিতে হবে।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রাঙ্গার বক্তব্য পার্টির বক্তব্য নয়। পার্টি এ বক্তব্যকে সমর্থন করে না। এটা রাঙ্গার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বক্তব্য। তারপরও তারা এ বক্তব্যের জন্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও সরকারি দলের নাহিদ এজহার খান।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ১২ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:২১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ নুর হোসেন সম্পর্কে কটূক্তি করায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে সরকারি দলের সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী বিষয়টির সূত্রপাত করলে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান। খবর বাসসের।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, এরশাদ বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সে সময় শুধু নুর হোসেন নয় সেলিম, দেলোয়ারসহ অসংখ্য নেতা কর্মীকে তৎকালীন এরশাদ সরকার হত্যা করেছিল। আর বুকে পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে আন্দোলনে শামিল হওয়া নুর হোসেনকেও সে সময়কার সরকার নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং ‘৯০ সালে গণ-অভুত্থানে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ নুর হোসেন সম্পর্কে রাঙ্গার বক্তব্যকে ধৃষ্টতামূলক বলে উল্লেখ করে এ জন্য তাকে সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান আমির হোসেন আমু।
সরকারি দলের অপর সিনিয়র সংসদ সদস্য তোফায়েল আাহমেদ বলেন, যেখানে জনাব রাঙ্গার নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শহীদ নুর হোসেনের বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, সেখানে রাঙ্গা এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার ধৃষ্টতা কিভাবে দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদ রাঙ্গাকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, নুর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন। তার এ আত্মত্যাগের ফলে পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। আর গণতন্ত্র মুক্তি পায়। রাঙ্গা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও নুর হোসেন সম্পর্কে যে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তার জন্য তাকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। শুধু তা নয়, এ জন্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও ব্যাখ্যা দিতে হবে।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রাঙ্গার বক্তব্য পার্টির বক্তব্য নয়। পার্টি এ বক্তব্যকে সমর্থন করে না। এটা রাঙ্গার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বক্তব্য। তারপরও তারা এ বক্তব্যের জন্য জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও সরকারি দলের নাহিদ এজহার খান।