আবরার হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:২৮
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও জানান, আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রসিকিউশন টিমকে মামলা গ্রহণ করার কথা বলা হবে।
আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ, যাদের মধ্যে চারজন পলাতক। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযোগপত্র দাখিলের পর কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। আসামি পলাতক থাকলে সেই আসামিকে হাজির করতে একটি আদেশ দিতে হয়। আদেশের পরও যদি হাজির না হয়, তাহলে আসামির অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ করা যায়। সেজন্য একটি গেজেট নোটিফিকেশন করতে হবে। এসব কার্যক্রম যত শিগগির সম্ভব আমরা শেষ করব এবং সোমবারের (১৮ নভেম্বর) মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রসিকিউশন টিমকে বলব।’
তিনি বলেন, ‘বিচারিক আদালতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেই এ আবেদন আসতে হয়। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন করলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারকার্য দেওয়া হবে।’
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনালে বিচার করার প্রথম সময় হচ্ছে ৯০ দিন। এরপর আরও ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়। মোট ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে না পারলে তৃতীয়বারের মতো আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। অর্থাৎ মোট ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আইনে কিন্তু বলা আছে একটা সময় দিতে হবে। এই সময়ের ওপর দিয়ে আমরা যেতে পারব না। আইনি বাধ্যবাধকতা মেনেই বিচারকাজ যত দ্রুত করা যায় সেটা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত শেষ হয়েছে। এ হত্যা মামলার বিচারকাজও যথাসময়ে শেষ হবে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:২৮

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও জানান, আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রসিকিউশন টিমকে মামলা গ্রহণ করার কথা বলা হবে।
আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ, যাদের মধ্যে চারজন পলাতক। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযোগপত্র দাখিলের পর কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। আসামি পলাতক থাকলে সেই আসামিকে হাজির করতে একটি আদেশ দিতে হয়। আদেশের পরও যদি হাজির না হয়, তাহলে আসামির অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ করা যায়। সেজন্য একটি গেজেট নোটিফিকেশন করতে হবে। এসব কার্যক্রম যত শিগগির সম্ভব আমরা শেষ করব এবং সোমবারের (১৮ নভেম্বর) মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রসিকিউশন টিমকে বলব।’
তিনি বলেন, ‘বিচারিক আদালতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেই এ আবেদন আসতে হয়। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন করলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারকার্য দেওয়া হবে।’
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনালে বিচার করার প্রথম সময় হচ্ছে ৯০ দিন। এরপর আরও ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়। মোট ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে না পারলে তৃতীয়বারের মতো আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। অর্থাৎ মোট ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আইনে কিন্তু বলা আছে একটা সময় দিতে হবে। এই সময়ের ওপর দিয়ে আমরা যেতে পারব না। আইনি বাধ্যবাধকতা মেনেই বিচারকাজ যত দ্রুত করা যায় সেটা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত শেষ হয়েছে। এ হত্যা মামলার বিচারকাজও যথাসময়ে শেষ হবে।’