দ্বিগুণ রিটার্নধারীর আশা নিয়ে শুরু হচ্ছে আয়কর মেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০৯:৪৭
ফাইল ছবি
করসেবা প্রদান ও কর সচেতনতা বাড়াতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার, চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ ছাড়া সব জেলা শহরে চার দিন ও ৪৮টি উপজেলায় দুই দিনের মেলা হবে। পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে ৮টি গ্রোথ সেন্টারে একদিন ভ্রাম্যমাণ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
কয়েক দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এবার আয়কর মেলা শেষে রিটার্নধারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০ লাখে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ওই সময় রিটার্নধারী ছিল ১৬ লাখ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঢাকায় মিন্টো রোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন।
এবারের মেলার স্লোগান হচ্ছে ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এবং প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’। করমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের মেলায় বরাবরের মতো আয়কর বিবরণীর ফরম দাখিল থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক বুথ পাবেন করদাতারা। তাদের জন্য মেলায় সহায়তাকেন্দ্রে অপেক্ষা করবেন কর কর্মকর্তারা। একই ছাদের নিচে সব সেবা মিলবে। করদাতা শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনলেই হবে।
মেলায় ই-টিআইএন নিবন্ধন ও আয়কর বিবরণী গ্রহণ, কর পরিশোধ, আয়কর বিবরণী পূরণে সহায়তা এবং কর শিক্ষা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকছে।
এনবিআর জানান, এবারের মেলা উপলক্ষে কর সংক্রান্ত তথ্য সংবলিত একটি ওয়েবসাইট এবং কর পরিশোধে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হচ্ছে। ওয়েবসাইট থেকে আয়কর বিবরণী ফরম ও চালান ফরম ডাউনলোড করার পাশাপাশি সব ধরনের নির্দেশিকা পাওয়া যাবে। তাই করমেলার ন্যায় অধিকাংশ সুবিধা ঘরে বসেই ভোগ করতে পারবেন করদাতারা।
গত বছর আয়কর মেলায় ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ নাগরিক সেবা নেন। রিটার্ন জমা হয় ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩টি। কর আদায় হয় ২৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকা। আর নতুন নিবন্ধন নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৪৩৭ জন করদাতা।
পুরুষদের ক্ষেত্রে কারো আয় বছরে আড়াই লাখ টাকার বেশি হলে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। নারীর ক্ষেত্রে এ সীমা তিন লাখ। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। এ সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানার বিধান রয়েছে।
এদিকে বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয়ভাবে সেরা করদাতাগণকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০৯:৪৭

করসেবা প্রদান ও কর সচেতনতা বাড়াতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার, চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ ছাড়া সব জেলা শহরে চার দিন ও ৪৮টি উপজেলায় দুই দিনের মেলা হবে। পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে ৮টি গ্রোথ সেন্টারে একদিন ভ্রাম্যমাণ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
কয়েক দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এবার আয়কর মেলা শেষে রিটার্নধারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০ লাখে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ওই সময় রিটার্নধারী ছিল ১৬ লাখ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঢাকায় মিন্টো রোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন।
এবারের মেলার স্লোগান হচ্ছে ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এবং প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’। করমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের মেলায় বরাবরের মতো আয়কর বিবরণীর ফরম দাখিল থেকে শুরু করে কর পরিশোধের জন্য ব্যাংক বুথ পাবেন করদাতারা। তাদের জন্য মেলায় সহায়তাকেন্দ্রে অপেক্ষা করবেন কর কর্মকর্তারা। একই ছাদের নিচে সব সেবা মিলবে। করদাতা শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনলেই হবে।
মেলায় ই-টিআইএন নিবন্ধন ও আয়কর বিবরণী গ্রহণ, কর পরিশোধ, আয়কর বিবরণী পূরণে সহায়তা এবং কর শিক্ষা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকছে।
এনবিআর জানান, এবারের মেলা উপলক্ষে কর সংক্রান্ত তথ্য সংবলিত একটি ওয়েবসাইট এবং কর পরিশোধে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হচ্ছে। ওয়েবসাইট থেকে আয়কর বিবরণী ফরম ও চালান ফরম ডাউনলোড করার পাশাপাশি সব ধরনের নির্দেশিকা পাওয়া যাবে। তাই করমেলার ন্যায় অধিকাংশ সুবিধা ঘরে বসেই ভোগ করতে পারবেন করদাতারা।
গত বছর আয়কর মেলায় ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ নাগরিক সেবা নেন। রিটার্ন জমা হয় ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩টি। কর আদায় হয় ২৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকা। আর নতুন নিবন্ধন নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৪৩৭ জন করদাতা।
পুরুষদের ক্ষেত্রে কারো আয় বছরে আড়াই লাখ টাকার বেশি হলে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। নারীর ক্ষেত্রে এ সীমা তিন লাখ। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। এ সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানার বিধান রয়েছে।
এদিকে বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয়ভাবে সেরা করদাতাগণকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।