বিদেশে ভোগান্তির শিকার নারী শ্রমিকের সংখ্যা কম: মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:১৮
বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকদের কমসংখ্যকই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বেল জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৬ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করছেন। যার মধ্যে দুই লাখ সৌদি আরবে রয়েছেন। বেশির ভাগ অভিযোগ সেখান থেকে আসে। আট হাজার নারী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের মধ্যে ৫৩ জন নারী কর্মীর মৃতদেহ এসেছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা জানি না তাদের মধ্যে কে কে আত্মহত্যা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেশির ভাগ নারী শ্রমিক বিদেশে ভালো অবস্থায় আছেন। তবে কোনোভাবে অল্পসংখ্যক নারী শ্রমিক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
তিনি বলেন, একদিকে নারী শ্রমিকদের অত্যাচারের বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার কারণে বিপাকে পড়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে নারী শ্রমিক না পাঠানোর বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিদেশে তাদের (নারী শ্রমিক) চাহিদা আছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের আইন ভালো। কিন্তু এজেন্সিগুলো আইনের তোয়াক্কা করে না। আমি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাকে অনুরোধ করেছি, নারী শ্রমিক পাঠানোর জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে।
তিনি বলেন, নারীকর্মীরা নির্যাতিত হলে তাদের শেল্টার হোমে রাখা হয়। তাদের বলা হয়, তারা অভিযোগ করলে মামলা হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা অভিযোগ করতে চান না। তবে দেশে ফিরলে তারা অভিযোগ করেন, তাদের অত্যাচার করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশে শেল্টার হোম এবং ২৪ ঘণ্টার হটলাইন চালু করেছি। যে কেউ নির্যাতনের অভিযোগ শেল্টার হোমে এসে কিংবা হটলাইনে ফোন করে জানাতে পারেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:১৮

বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকদের কমসংখ্যকই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বেল জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৬ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করছেন। যার মধ্যে দুই লাখ সৌদি আরবে রয়েছেন। বেশির ভাগ অভিযোগ সেখান থেকে আসে। আট হাজার নারী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের মধ্যে ৫৩ জন নারী কর্মীর মৃতদেহ এসেছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা জানি না তাদের মধ্যে কে কে আত্মহত্যা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেশির ভাগ নারী শ্রমিক বিদেশে ভালো অবস্থায় আছেন। তবে কোনোভাবে অল্পসংখ্যক নারী শ্রমিক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
তিনি বলেন, একদিকে নারী শ্রমিকদের অত্যাচারের বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার কারণে বিপাকে পড়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে নারী শ্রমিক না পাঠানোর বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিদেশে তাদের (নারী শ্রমিক) চাহিদা আছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের আইন ভালো। কিন্তু এজেন্সিগুলো আইনের তোয়াক্কা করে না। আমি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাকে অনুরোধ করেছি, নারী শ্রমিক পাঠানোর জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে।
তিনি বলেন, নারীকর্মীরা নির্যাতিত হলে তাদের শেল্টার হোমে রাখা হয়। তাদের বলা হয়, তারা অভিযোগ করলে মামলা হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা অভিযোগ করতে চান না। তবে দেশে ফিরলে তারা অভিযোগ করেন, তাদের অত্যাচার করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশে শেল্টার হোম এবং ২৪ ঘণ্টার হটলাইন চালু করেছি। যে কেউ নির্যাতনের অভিযোগ শেল্টার হোমে এসে কিংবা হটলাইনে ফোন করে জানাতে পারেন।