বাস ধর্মঘটে নাকাল সাধারণ মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:৫৪
ছবি: ফোকাস বাংলা
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে বুধবারও পরিবহন ধর্মঘটে বাস চালক ও শ্রমিকরা। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ রুটে বাস চলাচল।
রাজধানী ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো বাস।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর পয়েন্টে এবং নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। গাড়ি আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন তারা। বাধা দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের গাড়ি চলাচলে।
গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মস্থলমুখী মানুষ। বিদ্যমান আইন চ্যালেঞ্জ করে বাস বন্ধ রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।
এদিকে রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলাতে তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ বেশিরভাগ বাস চলাচল। গাড়ি না পেয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে ফেরত যাচ্ছেন অনেকে। চালক-শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘট চলছে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়।
বরিশালের পাঁচ জেলার পর ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে আর ময়মনসিংহ বিভাগের দুই জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালক-শ্রমিকরা।
অন্যদিকে, ঘোষণা দিয়েই আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের প্রবল প্রতিবাদের মুখেই নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বাস্তবায়নে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে নতুন আইন সংশোধনের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এর বাইরে অভিযানের ঘোষণায় রাজধানীসহ সারা দেশেই পরিবহন ধর্মঘটের মতো পরিস্থিতি দেখা যায়। এতে দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:৫৪

নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে বুধবারও পরিবহন ধর্মঘটে বাস চালক ও শ্রমিকরা। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ রুটে বাস চলাচল।
রাজধানী ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো বাস।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর পয়েন্টে এবং নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। গাড়ি আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন তারা। বাধা দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের গাড়ি চলাচলে।
গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মস্থলমুখী মানুষ। বিদ্যমান আইন চ্যালেঞ্জ করে বাস বন্ধ রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।
এদিকে রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলাতে তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ বেশিরভাগ বাস চলাচল। গাড়ি না পেয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে ফেরত যাচ্ছেন অনেকে। চালক-শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘট চলছে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়।
বরিশালের পাঁচ জেলার পর ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে আর ময়মনসিংহ বিভাগের দুই জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালক-শ্রমিকরা।
অন্যদিকে, ঘোষণা দিয়েই আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের প্রবল প্রতিবাদের মুখেই নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বাস্তবায়নে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে নতুন আইন সংশোধনের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এর বাইরে অভিযানের ঘোষণায় রাজধানীসহ সারা দেশেই পরিবহন ধর্মঘটের মতো পরিস্থিতি দেখা যায়। এতে দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ।