শেখ হাসিনা-মমতা বৈঠকে ওঠেনি তিস্তা প্রসঙ্গ: আনন্দবাজার
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০৯:১৮
বাংলাদেশ-ভারত গোলাপি বলের প্রথম টেস্ট উদ্বোধনে শুক্রবার একদিনের সফরে কলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনো আলাদা বৈঠকের সূচি ছিল না।
আনন্দবাজার জানায়, সফরের আগের দিন বৃহস্পতিবারই একান্ত বৈঠক চেয়ে বার্তা পাঠানো হয় মমতার কার্যালয় থেকে। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায় ঢাকাও।
পরে ঠিক হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ২০ মিনিট একান্তে কথা বলবেন দুই নেত্রী। শেষ পর্যন্ত বৈঠক গড়ায় প্রায় ৫০ মিনিটে। সন্ধ্যা ৬টায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে উভয়পক্ষের কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই নেত্রীর কথা হয়।
বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, বৈঠকে দুই নেত্রীর কেউই তিস্তা প্রসঙ্গ তোলেননি। তবে নাগরিক তালিকা তথা এনআরসি নিয়ে ভারতে যা ঘটছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ যে অবহিত, এ দিনের আলোচনায় সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন হাসিনা।
মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এক কোটি শরণার্থীর ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
তাদের মতে, কলকাতায় এসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথা এর আগে বহু বার বলেছেন বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু যখন এনআরসির আবহে কথিত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হবে কিনা তা নিয়ে ভারতে জল্পনা শুরু হয়েছে, তখন মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পেছনে কূটনৈতিক কৌশল থাকতে পারে।
বৈঠকের পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি, সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চিরদিন বজায় থাকবে।’
অন্যদিকে মমতা বলেন, ‘দুই বাংলা ও দুই দেশের নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে, সেই আশা করি।’
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দুই বাংলার মধ্যে আরও আদানপ্রদানের সুযোগ রয়েছে।
এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সাইকেল শিল্পে বাড়বাড়ন্তের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। বাংলাদেশের সাইকেল নির্মাতারা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জমি দেওয়ার আশ্বাস দেন মমতা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০৯:১৮

বাংলাদেশ-ভারত গোলাপি বলের প্রথম টেস্ট উদ্বোধনে শুক্রবার একদিনের সফরে কলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনো আলাদা বৈঠকের সূচি ছিল না।
আনন্দবাজার জানায়, সফরের আগের দিন বৃহস্পতিবারই একান্ত বৈঠক চেয়ে বার্তা পাঠানো হয় মমতার কার্যালয় থেকে। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায় ঢাকাও।
পরে ঠিক হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ২০ মিনিট একান্তে কথা বলবেন দুই নেত্রী। শেষ পর্যন্ত বৈঠক গড়ায় প্রায় ৫০ মিনিটে। সন্ধ্যা ৬টায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে উভয়পক্ষের কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই নেত্রীর কথা হয়।
বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, বৈঠকে দুই নেত্রীর কেউই তিস্তা প্রসঙ্গ তোলেননি। তবে নাগরিক তালিকা তথা এনআরসি নিয়ে ভারতে যা ঘটছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ যে অবহিত, এ দিনের আলোচনায় সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন হাসিনা।
মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এক কোটি শরণার্থীর ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
তাদের মতে, কলকাতায় এসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথা এর আগে বহু বার বলেছেন বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু যখন এনআরসির আবহে কথিত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হবে কিনা তা নিয়ে ভারতে জল্পনা শুরু হয়েছে, তখন মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পেছনে কূটনৈতিক কৌশল থাকতে পারে।
বৈঠকের পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি, সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চিরদিন বজায় থাকবে।’
অন্যদিকে মমতা বলেন, ‘দুই বাংলা ও দুই দেশের নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে, সেই আশা করি।’
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দুই বাংলার মধ্যে আরও আদানপ্রদানের সুযোগ রয়েছে।
এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সাইকেল শিল্পে বাড়বাড়ন্তের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। বাংলাদেশের সাইকেল নির্মাতারা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জমি দেওয়ার আশ্বাস দেন মমতা।