কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:০৩
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুম রবিউল হুসাইনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাষ্ট্রপতি যথাযোগ্য মর্যাদায় সাহিত্য ও স্থাপত্যে এই বিশিষ্ট স্থপতির অবদান স্মরণ করেন।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে রবিউল হুসাইনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন,তার মৃত্যু সাহিত্য ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
রবিউল হুসাইন আজ সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবিউল হুসাইনের জন্ম ঝিনাইদহে। তিনি একাধারে স্থপতি, কবি, শিল্প-সমালোচক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সংস্কৃতিকর্মী। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বই হলো- কী আছে এই অন্ধকারের গভীরে, আরও উনত্রিশটি চাঁদ, স্থিরবিন্দুর মোহন সংকট, কর্পূরের ডানাঅলা পাখি, আমগ্ন কাটাকুটি খেলা, বিষুবরেখা, দুর্দান্ত, অমনিবাস, কবিতাপুঞ্জ, স্বপ্নের সাহসী মানুষেরা, যে নদী রাত্রির, বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি ইত্যাদি।
পেশা স্থাপত্যশিল্প হলেও সম্পৃক্ততা ছিল বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে। ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখায় ২০১৮ সালে একুশে পদক পান। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার’সহ অসংখ্য স্বীকৃতি লাভ করেছেন রবিউল হুসাইন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষকও ছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন রবিউল হুসাইন। তার স্ত্রী মারা গেছেন আগেই।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:০৩

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুম রবিউল হুসাইনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাষ্ট্রপতি যথাযোগ্য মর্যাদায় সাহিত্য ও স্থাপত্যে এই বিশিষ্ট স্থপতির অবদান স্মরণ করেন।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে রবিউল হুসাইনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন,তার মৃত্যু সাহিত্য ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
রবিউল হুসাইন আজ সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবিউল হুসাইনের জন্ম ঝিনাইদহে। তিনি একাধারে স্থপতি, কবি, শিল্প-সমালোচক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সংস্কৃতিকর্মী। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বই হলো- কী আছে এই অন্ধকারের গভীরে, আরও উনত্রিশটি চাঁদ, স্থিরবিন্দুর মোহন সংকট, কর্পূরের ডানাঅলা পাখি, আমগ্ন কাটাকুটি খেলা, বিষুবরেখা, দুর্দান্ত, অমনিবাস, কবিতাপুঞ্জ, স্বপ্নের সাহসী মানুষেরা, যে নদী রাত্রির, বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি ইত্যাদি।
পেশা স্থাপত্যশিল্প হলেও সম্পৃক্ততা ছিল বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে। ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখায় ২০১৮ সালে একুশে পদক পান। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার’সহ অসংখ্য স্বীকৃতি লাভ করেছেন রবিউল হুসাইন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষকও ছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন রবিউল হুসাইন। তার স্ত্রী মারা গেছেন আগেই।