প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন ও সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করুন: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২০:২০
পরিবেশের আরও অবনতি রোধকল্পে প্যারিস চুক্তির সকল ধারাসহ প্রাসঙ্গিক বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি সোমবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে জাতিসংঘের আয়োজনে দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু সম্মেলন কনফারেন্স অফ দা পার্টিজ (কপ২৫)-এর সাধারণ গোলটেবিল আলোচনায় এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যর্থতার ফলাফল সকল দেশের ওপর সমান ভাগে, বিশেষ করে যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেশি দায়ী তাদের ওপর বর্তাবে এবং আমাদের নিষ্ক্রিয়তা প্রত্যেক জীবিত মানুষের জন্য হবে মারাত্মক।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের আরও অবনতি রোধকল্পে আমাদের প্যারিস চুক্তির সকল ধারাসহ প্রাসঙ্গিক সকল বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে।
মারাত্মক পরিস্থিতি এবং মারাত্মক পরিস্থিতিতে রূপ নেয়া ঠেকাতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিকদের দায়িত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সিদ্ধান্তহীনতা কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সকল আলোচনায় ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ নীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে লস অ্যান্ড ড্যামেজ অর্থায়ন বিবেচনায় ‘ওয়ারস’ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমকে আরও জোরালো সমর্থন দিতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের বৈশ্বিক চিত্রপট খুবই সমন্বয়হীন, জটিলতাপূর্ণ ও অত্যন্ত অপ্রতুল।
শেখ হাসিনা বলেন, প্যারিস চুক্তিতে ‘অভিন্ন কিন্তু পৃথকিকৃত দায়িত্ব’-এর নীতির ভিত্তিতে বিশেষ পরিস্থিতি এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহ ও ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহ’-এর প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। জলবায়ু অর্থায়নের প্রত্যেক সরবরাহ প্রক্রিয়ায় এই স্বীকৃতি মেনে চলতে হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২০:২০

পরিবেশের আরও অবনতি রোধকল্পে প্যারিস চুক্তির সকল ধারাসহ প্রাসঙ্গিক বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি সোমবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে জাতিসংঘের আয়োজনে দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু সম্মেলন কনফারেন্স অফ দা পার্টিজ (কপ২৫)-এর সাধারণ গোলটেবিল আলোচনায় এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যর্থতার ফলাফল সকল দেশের ওপর সমান ভাগে, বিশেষ করে যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বেশি দায়ী তাদের ওপর বর্তাবে এবং আমাদের নিষ্ক্রিয়তা প্রত্যেক জীবিত মানুষের জন্য হবে মারাত্মক।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের আরও অবনতি রোধকল্পে আমাদের প্যারিস চুক্তির সকল ধারাসহ প্রাসঙ্গিক সকল বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে।
মারাত্মক পরিস্থিতি এবং মারাত্মক পরিস্থিতিতে রূপ নেয়া ঠেকাতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিকদের দায়িত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সিদ্ধান্তহীনতা কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সকল আলোচনায় ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ নীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে লস অ্যান্ড ড্যামেজ অর্থায়ন বিবেচনায় ‘ওয়ারস’ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমকে আরও জোরালো সমর্থন দিতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের বৈশ্বিক চিত্রপট খুবই সমন্বয়হীন, জটিলতাপূর্ণ ও অত্যন্ত অপ্রতুল।
শেখ হাসিনা বলেন, প্যারিস চুক্তিতে ‘অভিন্ন কিন্তু পৃথকিকৃত দায়িত্ব’-এর নীতির ভিত্তিতে বিশেষ পরিস্থিতি এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহ ও ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহ’-এর প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। জলবায়ু অর্থায়নের প্রত্যেক সরবরাহ প্রক্রিয়ায় এই স্বীকৃতি মেনে চলতে হবে।