পেট্রল পাম্পে ধর্মঘট সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দাবি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৭:৪৪
২৬ জেলায় প্রায় দেড় দিন জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রেখে ১৫ দফা দাবিতে পেট্রল পাম্পে ধর্মঘটকে ‘সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল এই দাবি করেন। তিনি বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি।
নাজমুল বলেন, ‘২০০৪ সালে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত কতিপয় ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধনে কোন ধরনের নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই ধর্মঘট ডাক দেন।
নাজমুল বলেন, ‘সরকার কর্তৃক আমাদের দাবিসমূহ সুবিবেচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন হঠাৎ করে আমাদের সংগঠন থেকে জ্বালানি তেলের পাচার এবং সাধারণ মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটে যাওয়ার উসকানি প্রদানের দায়ে বহিষ্কৃত কতিপয় ব্যক্তিরা তিনটি বিভাগে ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার জন্য বেআইনিভাবে আমাদের সংগঠনের নাম ও ব্যানার ব্যবহার করে সরকারের কাছে আমাদের পেশ করা দাবি নামা দিয়ে তারা আন্দোলন করে। এই কর্মসূচি আমরা কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করিনি এবং উক্ত ধর্মঘটের সাথে আমাদের বা সাধারণ মালিক-শ্রমিকদের সমর্থন বা সম্পৃক্ততা ছিল না।’
সরকারি ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তিকে তেল পাচারের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই ব্যক্তির সাথে সরকারি ঊর্ধ্বতন মহল কিভাবে বৈঠক করে তা আমাদের কোনোভাবেই বোধগম্য নয়।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানুর রহমান রতন। এদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসির সঙ্গে আলোচনায় কিছু দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৭:৪৪

২৬ জেলায় প্রায় দেড় দিন জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রেখে ১৫ দফা দাবিতে পেট্রল পাম্পে ধর্মঘটকে ‘সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল এই দাবি করেন। তিনি বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি।
নাজমুল বলেন, ‘২০০৪ সালে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত কতিপয় ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধনে কোন ধরনের নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই ধর্মঘট ডাক দেন।
নাজমুল বলেন, ‘সরকার কর্তৃক আমাদের দাবিসমূহ সুবিবেচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন হঠাৎ করে আমাদের সংগঠন থেকে জ্বালানি তেলের পাচার এবং সাধারণ মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটে যাওয়ার উসকানি প্রদানের দায়ে বহিষ্কৃত কতিপয় ব্যক্তিরা তিনটি বিভাগে ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার জন্য বেআইনিভাবে আমাদের সংগঠনের নাম ও ব্যানার ব্যবহার করে সরকারের কাছে আমাদের পেশ করা দাবি নামা দিয়ে তারা আন্দোলন করে। এই কর্মসূচি আমরা কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করিনি এবং উক্ত ধর্মঘটের সাথে আমাদের বা সাধারণ মালিক-শ্রমিকদের সমর্থন বা সম্পৃক্ততা ছিল না।’
সরকারি ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তিকে তেল পাচারের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই ব্যক্তির সাথে সরকারি ঊর্ধ্বতন মহল কিভাবে বৈঠক করে তা আমাদের কোনোভাবেই বোধগম্য নয়।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানুর রহমান রতন। এদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসির সঙ্গে আলোচনায় কিছু দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকরা।