‘ভারত যেন জনগণের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি না করে’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:৫৫
বন্ধুপ্রতিম ভারত যেন এমন কিছু না করে যাতে জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়- এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, বন্ধুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বলেন।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এ দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এ সংগ্রামে ভারতের বহুমাত্রিক অবদানের বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ।
বীরাঙ্গনাদের ত্যাগের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। তিনি বলেন, ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিশেষ একটি মাস। এই মাসে তারা দুর্দশা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ভারত তার নিজস্ব সম্পদের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করে প্রায় এক কোটি নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছিল এবং ভারতের সেনারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল। বন্ধুরা একে অপরের জন্য এটাই করে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে সম্মান জানিয়ে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ বছরের ভিসা, আর্মড ফোর্সেস হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও তাদের সন্তানদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বরাত দিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে তা এই অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করবে। আশা করছি, ভারত প্রাণপণ চেষ্টা করবে যাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয় ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে।
দেশ স্বাধীন করতে কোনো রাষ্ট্রকে এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি বলে মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:৫৫

বন্ধুপ্রতিম ভারত যেন এমন কিছু না করে যাতে জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়- এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, বন্ধুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বলেন।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এ দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এ সংগ্রামে ভারতের বহুমাত্রিক অবদানের বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ।
বীরাঙ্গনাদের ত্যাগের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। তিনি বলেন, ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিশেষ একটি মাস। এই মাসে তারা দুর্দশা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ভারত তার নিজস্ব সম্পদের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করে প্রায় এক কোটি নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছিল এবং ভারতের সেনারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল। বন্ধুরা একে অপরের জন্য এটাই করে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে সম্মান জানিয়ে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ বছরের ভিসা, আর্মড ফোর্সেস হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও তাদের সন্তানদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বরাত দিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে তা এই অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করবে। আশা করছি, ভারত প্রাণপণ চেষ্টা করবে যাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয় ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে।
দেশ স্বাধীন করতে কোনো রাষ্ট্রকে এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি বলে মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।