আদালতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রত্যাশিত নয়: রাষ্ট্রপতি
অনলাইন ডেস্ক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:২৬
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বেঞ্চের বিচারক ও বার আইনজীবীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্টদের আদালতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি শনিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম ও হাইকোর্ট এবং অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা আদালতের বিচারকদের সঙ্গে নৈশভোজপূর্ব এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আইন পেশা প্রকৃতপক্ষে খুবই সম্মানিত পেশা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে নিম্ন ও উচ্চ আদালতের কিছু সম্মানিত আইনজীবী বিচারকে কেন্দ্র করে হইচই ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছেন। এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত হতে পারে না।’ তিনি বিজ্ঞ আইনজীবীদের আইন পেশার ঐতিহ্য ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
দেশ ও জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে পারস্পরিক ভারসাম্য রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করলেও তারা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয় বরং পরস্পর সম্পূরক। তাই আপনাদেরকে পারস্পরিক ভারসাম্য বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
পেশাগত জীবনে আইনজীবী রাষ্ট্রপতি আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিচারপ্রার্থীদের জন্য কম খরচে সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি সর্বসম্মত ‘ওকালতনামা’ ফি নির্ধারণের নির্দেশ দেন, যাতে গরিব বিচারপ্রার্থীরা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করে এ সুযোগটি পেতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বিচার বিভাগ জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় রক্ষাকবচ হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্বাধীনভাবে কাজ করবে। রাষ্ট্রপতি তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে মামলা ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনার জন্য বিচার বিভাগকে নির্দেশ দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তৃতার শুরুতে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান নেই এমন একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর দেশকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের সম্মানে বঙ্গভবনে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন।
খবর:বাসস
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:২৬

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বেঞ্চের বিচারক ও বার আইনজীবীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্টদের আদালতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি শনিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম ও হাইকোর্ট এবং অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা আদালতের বিচারকদের সঙ্গে নৈশভোজপূর্ব এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আইন পেশা প্রকৃতপক্ষে খুবই সম্মানিত পেশা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে নিম্ন ও উচ্চ আদালতের কিছু সম্মানিত আইনজীবী বিচারকে কেন্দ্র করে হইচই ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছেন। এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত হতে পারে না।’ তিনি বিজ্ঞ আইনজীবীদের আইন পেশার ঐতিহ্য ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
দেশ ও জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে পারস্পরিক ভারসাম্য রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করলেও তারা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয় বরং পরস্পর সম্পূরক। তাই আপনাদেরকে পারস্পরিক ভারসাম্য বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
পেশাগত জীবনে আইনজীবী রাষ্ট্রপতি আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিচারপ্রার্থীদের জন্য কম খরচে সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি সর্বসম্মত ‘ওকালতনামা’ ফি নির্ধারণের নির্দেশ দেন, যাতে গরিব বিচারপ্রার্থীরা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করে এ সুযোগটি পেতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বিচার বিভাগ জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় রক্ষাকবচ হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্বাধীনভাবে কাজ করবে। রাষ্ট্রপতি তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে মামলা ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনার জন্য বিচার বিভাগকে নির্দেশ দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তৃতার শুরুতে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান নেই এমন একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর দেশকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের সম্মানে বঙ্গভবনে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন।
খবর:বাসস