ডাকসু নেতাদের কর্মকাণ্ডে নাখোশ রাষ্ট্রপতি
ঢাবি প্রতিনিধি | ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নেতাদের বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ডাকসু নেতাদের কর্মকাণ্ড আমার ভালো লাগে না। তাদের উচিত শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কাজ প্রাধান্য দেওয়া।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ডাকসু নেতাদের নিয়ে এখন নানা কথা শোনা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে নানা ভোগান্তি হয়। এ বিষয়ে তো ডাকসু নেতাদেরই কথা বলার ছিল, আমি বলব কেন? আমি আর কিছু বলতে চাই না। ডাকসু নির্বাচনের নানান ত্রুটির কথা আমি শুনতে পেয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে এ রকমের ভুলত্রুটি হবে না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, তোমাদের মা-বাবা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। এমন অনেক পরিবার আছেন যারা সর্বস্ব দিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের মানুষ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। তোমাদের মূল দায়িত্ব হলো লেখাপড়া করা এবং দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা। তোমরা এমন কোনো কাজ করবে না যাতে তোমাদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়।
সমাবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের সমাবর্তনে ২০ হাজার সাত শ ৯৬ গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৭৯ কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ৯৮টি স্বর্ণপদক, ৫৭ জনকে পিএইচডি, ছয়জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়। অধিভুক্ত সাত কলেজের রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ঢাবি প্রতিনিধি | ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:০৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নেতাদের বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ডাকসু নেতাদের কর্মকাণ্ড আমার ভালো লাগে না। তাদের উচিত শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কাজ প্রাধান্য দেওয়া।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ডাকসু নেতাদের নিয়ে এখন নানা কথা শোনা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে নানা ভোগান্তি হয়। এ বিষয়ে তো ডাকসু নেতাদেরই কথা বলার ছিল, আমি বলব কেন? আমি আর কিছু বলতে চাই না। ডাকসু নির্বাচনের নানান ত্রুটির কথা আমি শুনতে পেয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে এ রকমের ভুলত্রুটি হবে না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, তোমাদের মা-বাবা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। এমন অনেক পরিবার আছেন যারা সর্বস্ব দিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের মানুষ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। তোমাদের মূল দায়িত্ব হলো লেখাপড়া করা এবং দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা। তোমরা এমন কোনো কাজ করবে না যাতে তোমাদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়।
সমাবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের সমাবর্তনে ২০ হাজার সাত শ ৯৬ গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৭৯ কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ৯৮টি স্বর্ণপদক, ৫৭ জনকে পিএইচডি, ছয়জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়। অধিভুক্ত সাত কলেজের রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েটরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সরাসরি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।