সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:২৪
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১ ও ১২তম গ্রেড দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি এই পদকে কেন দশম গ্রেডে উন্নীত করে সেই অনুযায়ী বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হবে না রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে সম্পªতি হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন টাঙ্গাইলের আতাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুনসহ ৭৭ জন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার ও জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ (পিএসসি) সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণ এবং তাদের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে উন্নীতকরণ করে।
হাইকোর্ট এ ধরনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ সে অনুযায়ী বেতন স্কেল কেন নির্ধারণ হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:২৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১ ও ১২তম গ্রেড দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি এই পদকে কেন দশম গ্রেডে উন্নীত করে সেই অনুযায়ী বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হবে না রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে সম্পªতি হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন টাঙ্গাইলের আতাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুনসহ ৭৭ জন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার ও জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ (পিএসসি) সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণ এবং তাদের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে উন্নীতকরণ করে।
হাইকোর্ট এ ধরনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ সে অনুযায়ী বেতন স্কেল কেন নির্ধারণ হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছে।