আসছে কম্বল মোড়া শীত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:০১
চলছে অগ্রহায়ণের ২৭ তারিখ। পৌষ আসতে আরো কয়দিন বাকি। এরই মধ্যে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। তবে রবিবার তেঁতুলিয়ায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালেও পরের কয়েক দিন তাপমাত্রা আবার বেড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রির ওপরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ডিসেম্বরের শেষভাগে দেখা মিলবে কম্বল মোড়ানো শীতের।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। সারা দেশেই দেখা মিলবে শীতের। তবে আগামী দুই-তিন দিন সারা দেশেই তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর থেকে কমবে।’
অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষার্ধে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কম থাকতে পারে। এ সময়ে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু বা মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৬ ডিগ্রিতে।
চলতি সপ্তাহে মোটামুটি সারা দেশেই তাপমাত্রার ব্যাপক কোনো পরিবর্তন হয়নি। ব্যতিক্রম শুধু পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলাটিতে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৮ ডিগ্রিতে। তবে এরপর থেকে পুরো সপ্তাহজুড়েই সেখানে তাপমাত্রা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলেও। রংপুর বিভাগের সব জেলায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ছিল।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৭ ডিগ্রির মধ্যে ছিল। এ দিন রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:০১

চলছে অগ্রহায়ণের ২৭ তারিখ। পৌষ আসতে আরো কয়দিন বাকি। এরই মধ্যে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। তবে রবিবার তেঁতুলিয়ায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালেও পরের কয়েক দিন তাপমাত্রা আবার বেড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রির ওপরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ডিসেম্বরের শেষভাগে দেখা মিলবে কম্বল মোড়ানো শীতের।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। সারা দেশেই দেখা মিলবে শীতের। তবে আগামী দুই-তিন দিন সারা দেশেই তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর থেকে কমবে।’
অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষার্ধে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কম থাকতে পারে। এ সময়ে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু বা মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৬ ডিগ্রিতে।
চলতি সপ্তাহে মোটামুটি সারা দেশেই তাপমাত্রার ব্যাপক কোনো পরিবর্তন হয়নি। ব্যতিক্রম শুধু পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলাটিতে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৮ ডিগ্রিতে। তবে এরপর থেকে পুরো সপ্তাহজুড়েই সেখানে তাপমাত্রা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলেও। রংপুর বিভাগের সব জেলায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ছিল।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৭ ডিগ্রির মধ্যে ছিল। এ দিন রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।