রেলের সংখ্যা বাড়ার কারণে শিডিউল বিপর্যয় হয়: রেলমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:৫৫
দেশে রেলপথের সক্ষমতা অনুযায়ী রেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিডিউল বিপর্যয় হয় বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সক্ষমতার হিসেবে ১১টি বড় ট্রেন চলার কথা ছিল- উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, সেখানে চলছে ২১টি। আপ-ডাউন মিলিয়ে ট্রেন চলার কথা ২২টি, কিন্তু সব মিলিয়ে ট্রেন চলছে ৪২টি।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নর্থবেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরামের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে আমাদের কিছু করার না থাকলেও আমরা ইতিমধ্যেই এ সব সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।’
সত্তরের দশকে সারা দেশে ৭০ হাজারের বেশি লোকবল ছিল- উল্লেখ করে সুজন বলেন, ‘যা কমতে কমতে এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজারে। লোকবল সংকটের কারণে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ১০৪টি রেল স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর রেল খাতকে অবহেলা করে শুধুমাত্র সড়কপথকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণে আজকের এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
রেলের এই অবস্থা থাকবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, ঢাকা-পঞ্চগড় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ব্রডগেজ ও ডুয়েল গেজ লাইন বাড়ানো হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুসহ বেশ কিছু রেলসেতু নির্মাণকাজের পূর্ব প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দ্রুতগতির ট্রেন। যা দিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যেতে সময় নেবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা।
সংগঠনের সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনসহ রাজধানী ভিত্তিক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংবাদিক ফোরামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:৫৫

দেশে রেলপথের সক্ষমতা অনুযায়ী রেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিডিউল বিপর্যয় হয় বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সক্ষমতার হিসেবে ১১টি বড় ট্রেন চলার কথা ছিল- উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, সেখানে চলছে ২১টি। আপ-ডাউন মিলিয়ে ট্রেন চলার কথা ২২টি, কিন্তু সব মিলিয়ে ট্রেন চলছে ৪২টি।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নর্থবেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরামের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে আমাদের কিছু করার না থাকলেও আমরা ইতিমধ্যেই এ সব সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।’
সত্তরের দশকে সারা দেশে ৭০ হাজারের বেশি লোকবল ছিল- উল্লেখ করে সুজন বলেন, ‘যা কমতে কমতে এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজারে। লোকবল সংকটের কারণে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ১০৪টি রেল স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর রেল খাতকে অবহেলা করে শুধুমাত্র সড়কপথকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণে আজকের এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
রেলের এই অবস্থা থাকবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, ঢাকা-পঞ্চগড় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ব্রডগেজ ও ডুয়েল গেজ লাইন বাড়ানো হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুসহ বেশ কিছু রেলসেতু নির্মাণকাজের পূর্ব প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দ্রুতগতির ট্রেন। যা দিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যেতে সময় নেবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা।
সংগঠনের সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনসহ রাজধানী ভিত্তিক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংবাদিক ফোরামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।